জার্মানির ক্রেফেল্ড শহরে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে যাওয়া একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গুলি করে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি একের পর এক বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিল, তবে এই ঘটনার ফলে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পুরো ঘটনা শহরটিতে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, যদিও পুলিশ পরে জানিয়েছে যে জনগণের আতঙ্কের আর কোনো কারণ নেই।
পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে প্রথম তারা খবর পায় যে, একজন ব্যক্তি একটি ভবনের উপরতলায় আগুন লাগিয়েছে। এরপর সে স্থানীয় একটি এমপ্লয়মেন্ট অফিসে একটি ডিভাইস ছুঁড়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে। এর পরপরই ওই ব্যক্তি একটি ওষুধবাহী গাড়িতে হামলা চালায়, যার ফলে গাড়ির জানালা ভেঙে যায় এবং গাড়ির একটি অংশে পোড়া দাগ দেখা যায়।
ভর্কুটা এখন রাশিয়ার সবচেয়ে শীতলতম এবং সবচেয়ে পরিত্যক্ত শহরগুলির একটি হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পিছু ধাওয়া শুরু করে। প্রথম তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার পর ওই ব্যক্তি একটি সিনেমা হলের সামনে গিয়ে উপস্থিত হয়, যা একটি রেল স্টেশনের কাছেই অবস্থিত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং আহত অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিনেমা হলটি পুলিশ সিল করে দিয়েছে এবং ঘটনাস্থলের চারপাশে ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আর কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই এবং ওই ব্যক্তি একাই এই কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার পরিচয় এবং এ ধরনের আচরণের পেছনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলা নেতানিয়াহুর পরবর্তী পদক্ষেপ
ঘটনাটি শহরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সিনেমা হলের সামনে পুলিশি তৎপরতা এবং ব্যারিকেড দেখে অনেকেই ভীত হয়ে পড়েন। যদিও পুলিশ পরে আশ্বস্ত করে যে, আতঙ্কের আর কোনো কারণ নেই এবং পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করতে ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও, শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং শিগগিরই আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এভারেস্টে ১৯২৪ পর্বতারোহীর পা পাওয়া যাওয়ার পর পরিবার ‘স্বস্তির’ কথা বলে
ক্রেফেল্ডের এই ঘটনা একটি গুরুতর নিরাপত্তাজনিত ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তবে পুলিশের তৎপরতায় বড় কোনো বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় এবং তার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট না হলেও, পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং এর পেছনের কারণ উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করছে।
