আজ (বুধবার) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের ছয়জন বিচারপতি সাক্ষাৎ করেছেন। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে শুরু করে ২টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বিচারপতিরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন। সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. আখরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন।

সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খান ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার

এই সাক্ষাতের বিষয়ে বিচারপতিরা গণমাধ্যমে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাদের একজন ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

হাইকোর্ট বিভাগের কিছু বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির প্রেক্ষিতে এই সাক্ষাৎ বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। আজ হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। এই কর্মসূচি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন আদালতের কার্যক্রমে বিভিন্ন অনিয়ম এবং বিচারকদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মামলায় হেরেও ঝিনাইদহে বিএনপি নেত্রী দখল করলেন অন্যের জমি, ৩৫ বছর পর আদালতের রায় পুলিশী নিষেধাজ্ঞা অমান্য

এ ধরনের সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানানোর খবর ছড়িয়েছে, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ বিভাগ এবং রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

ফরিদপুরে অতিরিক্ত মদ পানে আরও এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

বর্তমানে দেশের বিচার বিভাগে কিছু সমস্যা এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যা জনগণের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দলবাজি এবং দুর্নীতির অভিযোগ বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রশ্ন উত্থাপন করছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের সাক্ষাৎ বিচার বিভাগের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে দুর্ঘটনায় স্পিডবোট ডুবে ৯ জন র মধ্যে ৮ জন উদ্ধার একটি শিশু নিখোঁজ

বিচারপতিরা যদিও সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে এই সাক্ষাৎ যে বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ আলোচনার একটি অংশ তা স্পষ্ট। জনমনে প্রশ্ন উঠছে, এই সাক্ষাতের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতিরা বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা পুনরুদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন কি না।

সংশোধিত – নিউজ মামলায় হেরেও অন্যের জমি দখল করলেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর

বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধান বিচারপতিকে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হতে পারে। দুর্নীতি এবং দলবাজির অভিযোগের বিষয়ে একটি স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা এ ধরনের অনিয়মে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের উদ্যোগ বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হতে পারে।

বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিচারপতিদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version