কামাল হোসেন ঃ রাজবাড়ীর বিনোদপুর এলাকায় পৈত্রিক ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত ও স্বত্ব দখলীয় জমির উপর জোর পূর্বক ঘর নির্মাণ করে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার ধুি গ্রামের নাজিমদ্দিন শেখের ছেলে মো. সোহেলা রানার বিরুদ্ধে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসে পেশী শক্তির প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি দখল করার পায়তারা করছেন সে। বাধা দেওয়ায় প্রাণ নাশের হুমকি-ধামকিও প্রদান করছেন তারা। এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন একই উপজেলার বিনোধপুর এলাকার ভূক্তভোগী মো. তমিজ উদ্দিন।

বালিয়াকান্দিতে চোখ জুড়িয়ে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যমুখী

অভিযোগ সূত্রে ভূক্তভোগী তমিজ উদ্দিন জানান, তার পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ও স্বত্ব দখলীয় লক্ষীকোল মৌজার এস.এ ৮৫২ যাহা বি এস চুরান্ত ৬৭৭ নং খতিয়ানভূক্ত সাবেক যাহা ৪৫৫ নং যাহা বি এস ৭০৫ নং দাগে বাড়ি জমি ১৯.৫৩ শতাংশর মধ্যে ৩ শতাংশ এবং একই মৌজার এস এ ৮৫২ নং যাহা বি এস প্রস্তাবিত ৮৫২/৩ নং খতিয়ানভূক্ত সাবেক ৪৫৫ যাহা বি এস ৭০৫ নং দাগে বাড়ি জমি ১৯.৫৩ শতাংশের মধ্যে ০৫.৬০ শতাংশ ইহার মধ্যে ৪ শতাংশ মোট ৭ শতাংশ জমি (যাহার মধ্যে তার পূত্রের ৪ শতাংশ জমি) বিক্রয়ের ঘোষণা দিলে সদর উপজেলার ধুি গ্রামের নাজিমদ্দিন শেখের ছেলে মো. সোহেল রানা জমির দর দাম ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে বায়না বাবদ ৭ লাখ টাকা প্রদান করে ৭৫ টাকা মূল্যের ৪টি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি আনরেজিস্ট্রি বায়না করা হয়।

পাংশায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ফুটবলার সৌরভের পরিবারের পাশে ইউএনও

বায়না নামায় শর্ত থাকে যে গত বছরের জুন মাসের ১৪ তারিখের পর হতে ৩ মাসের মধ্যে বাকী ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রদান করিলে তার বড় পূত্র শামীম আহম্মেদ এর জমি সোহেল রানার নামে রেজিস্ট্রি করে দিবে। অপরদিকে বায়নার শর্তনামা ভঙ্গ হলে সোহেল রানার প্রদানকৃত ৭ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত বলিয়া গণ্য হবে।

রাজবাড়ীতে পরীক্ষা শেষে ১১ এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীকে মারপিট

কিন্তু বায়নামার নিদৃষ্ট সময় সিমা অতিবাহিত হলেও সে আজকাল করে সময় ক্ষেপন করে বায়নানামার শর্ত ভঙ্গ করেন। পরবর্তীতে গত বছরের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে উভয়ের পরিবারের লোকজন একত্রে বসে বায়নার টাকা ফেরত দেওয়া অথবা বাকী টাকা পরিষদের কথা বললে সে পরের দিন (১৯ অক্টোবর) জানানোর কথা বলে চলে যান।

কিন্তু পরের দিন রাতের আঁধারে তাকে কিছু না জানিয়ে ওই জমির উপর একটি টিনশেড ছাপড়া নির্মাণ করেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে খড়ি রাখার জায়গা নেই বলে ঘর তুলেছে বলে জানান। তার ১৪/১৫দিন পর ওই জমিতে অবৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে বিদ্যুৎ অফিস থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন।

রাজবাড়ীতে ১০৯টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিকের নিকট হস্তান্তর

বিষয়টি জেনে ভূক্তভোগী তমিজ উদ্দিন বিদ্যুৎ অফিসে মৌখিক অভিযোগ দিলে বিদ্যুৎ অফিস কতৃপক্ষ সোহেল রানাকে জমাকৃত কাগজের মূল কপি নিয়ে অফিসে যেতে বলেন। কিন্তু সোহেল রানা ওই কাগজ দেখাতে ব্যার্থ হলে বিদ্যুৎ অফিস কতৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

পরবর্তীতে গত বছরের অক্টোবর মাসের ২১ তারিখে সকাল ১০টার দিকে ওই জমিতে ইট, সিমেন্ট ও খুটি দিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করলে ভূক্তভোগীরা ঘর নির্মাণে বাধা দিলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে তাদেরকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি-ধামকি প্রদান করেন।

সোনাপুর- মৃগী সড়কের প্যালাসাইটিং ভরাটে অনিয়মের অভিযোগ

বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের অবগত করলে তারা ভূক্তভোগীকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। তার দখলীয় সম্পত্তির উপর ঘর নির্মাণ বন্ধ করাসহ তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার লক্ষে সে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version