বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি ঃ হলুদের আভায় ছেয়ে আছে বিস্তৃত সূর্যমুখীর বাগান গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নজরকাড়া সূর্যমুখী ফুলের হলুদ আঙিনা। আর সেই হলুদ ফুলের হাসিতে নিজেদের বৈকালীন সময় কাটাতে এখানে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরামাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী।

পাংশায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ফুটবলার সৌরভের পরিবারের পাশে ইউএনও

কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই কৃষকরাও ঝুঁকেছেন সূর্যমুখী চাষে। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের সমারোহে মেতে উঠেছে বালিয়াকান্দির উপজেলার কৃষি ক্ষেতগুলো সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এখানকার চাষিরা তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষ সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এই ফসলটি উৎপাদনে বেশি উৎসাহী হয়ে উঠেছেন বালিয়াকান্দি সদর উপজেলার আমতলা বাজার পূর্বমৌকুরি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মনির শেখ (৩৫)।

রাজবাড়ীতে পরীক্ষা শেষে ১১ এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীকে মারপিট

তিনি জানান, এর পূর্বে জমিতে ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসলের চাষ করতেন। এবছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সার পেয়ে ১ বিঘা জমিতে তা আবাদ করি। আবাদ করতে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা আর সূর্যমুখীর বীজ বিক্রির করেছি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা তাই এ বছর কৃষি অফিস থেকে বেশি পরিমাণে বীজ সংগ্রহ করে ২ বিঘা জমিতে চাষ করছেন সূর্যমুখী ফুল।

রাজবাড়ীতে ১০৯টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিকের নিকট হস্তান্তর

তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমিতে বপনের জন্য ১ কেজি সূর্যমুখী বীজের প্রয়োজন হয় এবং খুবই কম মাত্রায় সার দিতে হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক কম শ্রমে অধিক ফলন পাওয়া যায়।তিনি জানান, এলাকায় তিনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন সূর্যমুখীর চাষ করেছেন।

সোনাপুর- মৃগী সড়কের প্যালাসাইটিং ভরাটে অনিয়মের অভিযোগ

সজল কুমার বলেন, বিকেল হলেই প্রায়ই আমি এ মাঠের দিকে আসি কয়েকদিন যাবত একটু খেয়াল করলাম সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করাতে মাঠের সৌন্দর্য বেড়ে গিয়েছে আমার পাশাপাশি এখন আমার বন্ধুরা সূর্যমুখীর ফুলের বাগান দেখতে আসে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী, সেই সঙ্গে এই তেল বিভিন্ন অসুখে প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে।

বালিয়াকান্দিতে ব্যাংগডুবি সেচ প্রকল্পের খাল পুনঃ খনন কাজের অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু

ভবিষ্যতে আরো বেশি সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়াতে কৃষকদের বীজ ও সার সহায়তার পাশাপাশি ফলন বৃদ্ধি পেতে সব ধরনের সহায়তার কথা জানান তিনি চলতি বছর তেল বীজ কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হেক্টর।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version