সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেপ্তারের ঘটনা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনা এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি  নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।

ভ্যানে লাশের স্তূপ করছে পুলিশ, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল ভ্যানে লাশের স্তূপের ভিডিওটি আশুলিয়ার

এই দুইজন গুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা তাদের দায়িত্ব পালনকালে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে তাদের গ্রেপ্তার দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, যার পরেই দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। সরকারের পতনের পরপরই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। উল্লেখ্য, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই সরকারের আমলে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন। শহীদুল হক ২০১৪ সালে আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৮ সালে অবসরে যান।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, সাবেক দুই আইজিপিকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে বুধবার ডিএমপির পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।পরে রাত ১টার দিকে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, শহীদুল হককে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন।

মনিরুল গণভবন থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন, যা ছাত্র আন্দোলন দমাতে

তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাতে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওই সরকার আমলে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সরকার পতনের পরদিন তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

অন্যদিকে শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান।

গ্রেপ্তারের ঘটনা সম্পর্কে  ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সাবেক দুই আইজিপিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বুধবার ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হবে।

মীর মাহফুজুর রহমান ‘মুগ্ধ’ শুধুমাত্র একটি নাম নয়, বরং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার উৎখাতে আন্দোলনের আত্মত্যাগের মূর্ত প্রতীক

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের পাঠানো এক খুদে বার্তায় বলা হয়, শহীদুল হককে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাতে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এই গ্রেপ্তারের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো এই গ্রেপ্তারকে সরকার পতনের প্রতিক্রিয়ায় দেখা দিচ্ছে এবং তাদের মতে, এটি একটি প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, আইন অনুযায়ী তদন্তের পরই এই গ্রেপ্তার হয়েছে এবং কোনো ধরনের প্রতিহিংসা এখানে কাজ করছে না।

দাম কমল জ্বালানি তেলের, আজ রাত ১২টা থেকে কার্যকর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই গ্রেপ্তারের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং তারা বলছে, অপরাধী যে-ই হোক, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, এ ধরনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভ্যন্তরীণ পরিবেশেও কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। অনেকেই এই ঘটনার পর নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এ কে এম শহীদুল হকের গ্রেপ্তার দেশের রাজনৈতিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এই গ্রেপ্তারের ঘটনাটি সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন হতে পারে, তবে এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগকেও উস্কে দিচ্ছে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় র‌্যাব-৬-এর অভিযানে এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার

এটি স্পষ্ট যে, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই ধরনের গ্রেপ্তার আরও বেশি উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে এবং এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে গণ্য হতে পারে। ভবিষ্যতে এই ঘটনাটি কীভাবে প্রভাব ফেলবে এবং এর পরিণতি কী হবে, তা দেশের জনগণ, রাজনৈতিক দল, এবং আন্তর্জাতিক মহল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version