সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের পক্ষ থেকে এক বিশেষ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়, যার মাধ্যমে এই ৫৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি মুক্তি পান। বিশেষ ক্ষমার কারণে তাদের সাজা মওকুফ হয় এবং দেশে ফেরার সুযোগ পান। এই ক্ষমা পাওয়ার ঘটনা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কের প্রমাণ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন চলছিল, যা দেশের বিভিন্ন স্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও তাদের দেশপ্রেম ও আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে আমিরাতে বিক্ষোভে অংশ নেন।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেপ্তার

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি সম্প্রতি ক্ষমা পেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে শাস্তি প্রদান করা হয়েছিল, যা সাধারণত কারাবাস, জরিমানা, বা অন্যান্য শাস্তির আওতায় আসে। তবে আমিরাতের সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়, যার মাধ্যমে এই ৫৭ জন বাংলাদেশি মুক্তি পান।

প্রতিবছর রমজান, ঈদ, জাতীয় দিবস বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য উৎসব উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার অনেক বন্দিকে ক্ষমা ঘোষণা করে। এটি সাধারণত দেশটির মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ক্ষমার মধ্য দিয়ে দেশটির সরকার বন্দিদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেয় এবং তাদেরকে নতুনভাবে জীবন শুরু করার সুযোগ প্রদান করে।

ভ্যানে লাশের স্তূপ করছে পুলিশ, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল ভ্যানে লাশের স্তূপের ভিডিওটি আশুলিয়ার

এই ক্ষমার ফলে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ঢাকাস্থ আমিরাত দূতাবাস তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ক্ষমার ফলে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে, কারণ প্রবাসে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার পর মুক্তি পাওয়া অনেকের জন্যই জীবন পুনরায় সাজানোর সুযোগ সৃষ্টি করে।

মনিরুল গণভবন থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন, যা ছাত্র আন্দোলন দমাতে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমিরাতে বিক্ষোভ করার পর ওই ৫৭ জন প্রবাসীকে আমিরাতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করে। প্রবাসী শ্রমিকদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ অনেক সময় আমিরাতে আইনবিরোধী হিসেবে গণ্য হয়, বিশেষ করে রাজনৈতিক বা সামাজিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়, যার মধ্যে ছিল কারাদণ্ড, জরিমানা, এবং দেশ থেকে বহিষ্কারের শাস্তি।

মীর মাহফুজুর রহমান ‘মুগ্ধ’ শুধুমাত্র একটি নাম নয়, বরং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার উৎখাতে আন্দোলনের আত্মত্যাগের মূর্ত প্রতীক

বাংলাদেশ সরকার এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এই প্রবাসীদের মুক্তির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের এই মানবিক পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের দেশপ্রেম এবং জাতীয় ইস্যুগুলোর প্রতি তাদের অনুভূতি গভীর।

বাংলাদেশ সরকার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্কের ভিত্তিতে বাংলাদেশি বন্দিদের মুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমিরাত সরকারের কাছে নিয়মিত অনুরোধ জানানো হয়, যাতে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের প্রতি মানবিক বিবেচনায় ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়।

ঝিনাইদহে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত-৫

এই ক্ষমা পাওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী। ভবিষ্যতে এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের প্রবাসী সম্প্রদায়ের জন্য আরও সহায়ক হতে পারে।

 

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version