বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বিএনপির অবস্থান এবং কিছু মূল বিষয় বিশ্লেষণ করা যেতে পারে:বর্তমানে বিএনপি সরকারের মেয়াদ নিয়ে যে চিন্তাভাবনা করছে তা মূলত দুই দিক বিবেচনা করে।

একদিকে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দ্রুত নির্বাচন চান। তাঁদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের আয়োজন করা হোক।

ঝিনাইদহে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত-৫

অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের মধ্যে কিছু লোক মনে করছেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার সম্পন্ন করতে পর্যাপ্ত সময় দরকার এবং এই প্রক্রিয়া শেষ করতে দুই বছরও লাগতে পারে।

বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩(৩)(ক) এবং ১২৩(৩)(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে যাওয়ার কারণে নির্বাচন করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে। তবে, সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। সাধারণভাবে, এই ধরণের পরিস্থিতিতে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হয়।

পদ্মা সেতু জাতিকে একটি মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক অবস্থানে নিয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিএনপির কিছু নেতা রাজনৈতিক বাস্তবতাও বিবেচনায় নিতে চান। তাঁদের মতে, আইনগত দিক বিবেচনা করার পাশাপাশি রাজনৈতিক বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। অতীতে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনকালে, যেখানে বিএনপি বা চারদলীয় জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন না, তা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বিএনপির অবস্থান হলো যে, যদি সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হয়, তবে বিএনপি হয়তো সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে হতে পারে।

ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে ককটেল-ম্যাগজিন উদ্ধার হলেও উদ্ধার হয়নি অবৈধ অস্ত্র

বিএনপির নেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আস্থা রাখছেন এবং রাজনৈতিক কৌশল অনুসারে তাঁরা সরকারকে কিছুটা বাড়তি সময় দিতে আগ্রহী হতে পারেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশে নিতাই রায় চৌধূরী “দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মুক্তি এখন আর মুক্ত স্বাধীন দেশের মতো নয়”

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং সরকারের প্রতি জনগণের অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে, বিএনপি মনে করে যে, আন্দোলনের প্রধান দাবির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছিল না। তবে, যদি সরকার এই দাবিগুলো গ্রহণ করেও থাকত, বিএনপির দাবি ছিল যে, সরকারের পক্ষ থেকে কিছু গ্রহণযোগ্যতা প্রত্যাশা ছিল।

Shober Kotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version