সচিবালয়ে চাকরির সুবাধে সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কয়েকটি পরিবারের তদবির করে সরকারে ত্রাণ সহায়তা আনেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার ছেলে রাকিবুল ইসলাম মিলন (৪০)।
ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাস-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪ জনের আটজনই আলফাডাঙ্গা উপজেলার। একই উপজেলায় মা-মেয়েসহ আটজন নিহতের ঘটনায় গোটা উপজেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঝিনাইদহে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৩ টি পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান
সরকারি ত্রাণ সহায়তার ঢেউটিন আনার জন্য মঙ্গলবার নিজের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে ফরিদপুরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন মিলন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটার প্রচেষ্টা মুহূর্তেই বিষাদে ছেয়ে যায়। মিলনের স্ত্রী, দুই সন্তান ও এক নানী শাশুড়িসহ ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে সড়কে। মারা যান মিলন নিজেও। একসঙ্গে একই পরিবারের ৪ জনসহ (নানী শাশুড়িসহ ৫ জন) এত মৃত্যু এর আগে কখনো দেখেনি ছত্রকান্দা গ্রামের বাসিন্দারা।
সচিবালয়ে চাকরির সুবাধে সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কয়েকটি পরিবারের তদবির করে সরকারে ত্রাণ সহায়তা আনেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার ছেলে রাকিবুল ইসলাম মিলন (৪০)।
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৪ জন একই পরিবারের। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে আটটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের দিগনগর তেঁতুলতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এক পরিবারের নিহত চারজন হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রাকিবুল হাসান মোল্লা ওরফে মিলন (৩৫), তাঁর স্ত্রী শামীমা আক্তার ওরফে সুমি (২৩) এবং তাঁদের দুই ছেলে আলবি রোহান (৬) ও আবু সিনান (৩)। রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে ফরিদপুরে যাচ্ছিলেন।
ঝিনাইদহে কৃষকের দেড়’শ ধরন্ত পেয়ারা গাছের সাথে শত্রুতা
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন মারা যান।
দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জন হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর মর্জিনা বেগম (৭৩), আলফা ডাঙ্গার তবিবুর খান (৫৫), নজরুল ইসলাম (৩৫), জাহানারা বেগম (৪৫), সোনিয়া বেগম (২৮), ২ বছরের নুরানী, কহিনূর বেগম (৬০), শুকুরুন্নেছা (৭০), সূর্য বেগম (৪০) ও ইকবাল শেখ (২৫)।
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাতক্ষীরা আইএফআইসি ব্যাংক ম্যানেজারের মৃত্যু
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের বাসিন্দা সাহানা বেগম বলেন, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। গাড়িটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝিতে এসে আঘাত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সরকারি ত্রাণ সহায়তার ঢেউটিন আনার জন্য মঙ্গলবার নিজের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে ফরিদপুরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন মিলন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটার প্রচেষ্টা মুহূর্তেই বিষাদে ছেয়ে যায়। মিলনের স্ত্রী, দুই সন্তান ও এক নানী শাশুড়িসহ ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে সড়কে। মারা যান মিলন নিজেও। একসঙ্গে একই পরিবারের ৪ জনসহ (নানী শাশুড়িসহ ৫ জন) এত মৃত্যু এর আগে কখনো দেখেনি ছত্রকান্দা গ্রামের বাসিন্দারা।
ঝিনাইদহে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১, পৌর যুবলীগের আহবায়কসহ আহত-৮
মঙ্গলবার সকাল সোয়া আটটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের অ্যাবলুম রেস্টুরেন্টের সামনে ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে মোট ১৪ জন মারা যান। ঘটনাস্থলেই মারা যান মিলন ও তার স্ত্রী-সন্তানসহ এক পরিবারের ৪ জন।
এ ঘটনায় মিলনের মা এবং তার ভাই আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ মোল্লার বড় মেয়ে আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।