স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগকে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাধীন বিচার বিভাগ, শক্তিশালী সংসদ ও প্রশাসন একটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।

ঝিনাইদহে বিএনপি’র কারামুক্ত নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা প্রদান

শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বালিয়াকান্দিতে খাবার পেয়ে থানা থেকে ফিরে গেল জোড়া হনুমান

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও স্বাধীন করেছি। এসময় আদালতে বাংলায় রায় দেওয়া জরুরি এবং আদালত স্মার্ট হবে বলে আশা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে মানুষের জীবনে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আর্থসামাজিক উন্নতি- এটা একমাত্র হতে পারে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয়। তখন দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আজকে জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে।”

দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেছেন, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত যদি হিসেব করেন, আজকে দেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে, সেটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

বানিবহ বাজারে ভোক্তার অভিযানে ২ ফার্মেসী মালিককে জরিমানা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে মানুষের জীবনে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আর্থসামাজিক উন্নতি- এটা একমাত্র হতে পারে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয়। তখন দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আজকে জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে।

গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া কখনো কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ পাশাপাশি। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যখন আত্মপ্রকাশ পেলে, আমরা দেখলাম ভারতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। অন্যদিকে সেই পাকিস্তান আমলে হোক, আর বাংলাদেশ হওয়ার পরে হোক, আমরা মিলিটারি ডিকটেটরশিপের ওপর
পড়েছি।

বারবার আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর। কোনো স্থিতিশীলতা ছিল না। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে আশা করেছিলাম, আমাদের ভূ-খ-ের মানুষ অন্তত একটা স্থিতিশীল জীবন পাবে, দেশের উন্নতি হবে। মানুষের উন্নতি হবে, জীবনমানের উন্নতি হবে।

রাজবাড়ী‌তে শহিদ মিনার থেকে ফুল চুরির ভি‌ডিও ধারণ ॥ সাংবা‌দি‌কের ওপর হামলা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর। কোনো স্থিতিশীলতা ছিল না। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে আশা করেছিলাম, আমাদের ভূ-খ-ের মানুষ অন্তত একটা স্থিতিশীল জীবন পাবে, দেশের উন্নতি হবে। মানুষের উন্নতি হবে, জীবনমানের উন্নতি হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ’৭৫ এর পর ক্ষমতা জনগণের হাতে নয়, ক্যান্টনমেন্টে বন্দী হয়। প্রায় ২১ বছর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষমতা সামরিক শাসকদের হাতে বন্দী ছিল। সেই বিচারকদের ধন্যবাদ যারা রায় দিয়েছেন- মার্শাল ল’ জারি করে,
সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। উচ্চ আদালতের রায় অনুসরণ করে জনগণের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে। আজকে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি।

আজকে আদালতের বিচারপতিগণ অনেকে রায় বাংলায় দেয়া শুরু করেছেন। বিশেষ করে ভাষার মাসে অনেক রায় বাংলায় দেয়া হচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এ সময় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করে তিনি।

তিনি বলেন, সংবিধানে বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই আছে। ১৫ আগস্ট যারা আপনজন হারিয়েছি, তাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ন্যায়বিচার পেতে আমাকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হয়।

ভারতবাসী সৌভাগ্যবান যে তাদের দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল। আর আমাদের দেশে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। উর্দি পরে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার চেষ্টা করেছে।

রাজবাড়ী জেলায় নারী হত্যা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন

ভবিষ্যতে দেশের বিচার বিভাগও স্মার্ট হবে- এমন প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে সেটা শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ আমরা বাস্তবায়ন করবো।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিরা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরাণ, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, সংসদ সদস্য ও বিজ্ঞ আইনজীবীরা।

গতকাল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version