শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের দাবির সংক্ষিপ্তসার: শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা জানিয়েছেন যে, বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই। তাঁদের দাবি, ছাত্র ও জনসাধারণকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছেন এবং ঘোষণাও করেছেন যে, সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।

ভুয়া ওয়ারেশ সেজে অর্পিত সম্পত্তি দাবী নিয়ে মামলার রায় ঝিনাইদহে বিপুল পরিমান অর্পিত সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা ব্যার্থ

প্রতিবাদী কর্মসূচির বিস্তারিত:

অঞ্চলিক আয়োজন: মঙ্গলবার, ‘ছাত্র-জনতাকে হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদী গানের মিছিল’ শিরোনামে একটি বড় সমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এটি ‘প্রতিবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ’ এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল, যার অংশ হিসেবে উদীচীসহ ৩১টি সাংস্কৃতিক সংগঠন উপস্থিত ছিল।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বিএনপির অবস্থান

সমাবেশের স্থান ও সময়: দুপুর তিনটায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদী শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা লাল পোশাক ও মাথায় লাল ফিতা বা গলায় লাল স্কার্ফ পরিধান করে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের হাতে ছিল নিহত আবু সাঈদসহ অন্যান্যদের ছবি, প্রতিবাদী স্লোগান-সংবলিত প্ল্যাকার্ড, জাতীয় পতাকা ও লাল পতাকা।

বাংলাদেশের সংকটের ব্যাখ্যা ঘটনাবলী ও সাম্প্রতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিত বিশ্লেষণ

পদযাত্রার ঘটনা: সমাবেশের পর, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা পদযাত্রা করে পুরান ঢাকার বাহাদুরশাহ পার্কের উদ্দেশে অগ্রসর হন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে পৌঁছানোর সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। অনেক অংশগ্রহণকারী সড়কের ওপর বসে পড়ে এবং গান ও স্লোগান করতে থাকেন। এই অবস্থার কারণে গোলচত্বর থেকে সদরঘাটমুখী সড়ক বন্ধ হয়ে যায় এবং আশপাশের দোকানগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। তবে পুলিশ তাঁদের ওপরে বল প্রয়োগ করেনি।

প্রতিবাদী অনুষ্ঠান:

গান ও আবৃত্তি: উদীচীর শিল্পীরা ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা’, ‘পূর্ব দিগন্ত সূর্য উঠেছে’, ‘মা গো ভাবনা কেন’, ‘দুর্গমগিরি’ সহ একাধিক উদ্দীপনাময় গান পরিবেশন করেন। এই সময় কবিতা আবৃত্তি করেন কবি হাসান ফকরী ও দীপক সুমন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদীচীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন।

ঝিনাইদহে সময় সংবাদের সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ, নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারনের দাবী

বক্তব্য: উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্র-জনতার হত্যার প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। এতে আবারও প্রমাণিত হলো, দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।” তিনি আরও বলেন, সরকার ছাত্রদের আন্দোলন দমনে নিষ্ঠুরভাবে আচরণ করেছে, যা গণতন্ত্রের জন্য বড় ধাক্কা।

ঝিনাইদহে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত-৫

অন্য বক্তাদের বক্তব্য: বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন। তাঁরা বলেন, সরকারের লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে, অথচ সেসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ভবিষ্যত কর্মসূচি: প্রতিবাদী সমাবেশের পর, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা ঘোষণা দেন যে, আগামী শুক্রবার বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নতুন প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করা হবে।

ঝিনাইদহে এক কৃষককে জবাই করে হত্যা

বিশেষ নোট: এই প্রতিবাদী কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণের রোষ সৃষ্টি করতে চান এবং দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখার সংকল্প প্রকাশ করেছেন।

Shober Kotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version