সিলেট, ৩১ মে- অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পানির তোড়ে সিলেটের তেরটির মধ্যে সাতটি উপজেলা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন পাঁচ লাখের বেশি মানুষ।
শুক্রবার সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “প্রায় ৫,৩৩,২০২ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এই উপজেলার ৪২টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনার তিন উপজেলার গ্রাম এখনো পানির নিচে
জনগণের থাকার জন্য এ পর্যন্ত ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ৪ হাজার ৮০২ জন।
সূত্রমতে, জোকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল বলেন, “আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। বন্যার্তদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।”
এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং শুকনো ও রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জে এমপি আনার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা কমানো বা বাড়ানো হবে৷
এদিকে বিয়ানীবাজার উপজেলায় হঠাৎ করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানিতে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ভেসে গেছে গরুর খামার ও মাছের ঘের। উপজেলার আলীনগর, চরখাই, দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরাবাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা, অন্ধত্বের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করবে: হাসান মাহমুদ
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ৬টায় সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে এবং জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর পানি ২০৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অমলসিদ পয়েন্টে লাইন। তবে গোয়াইনঘাট পয়েন্টে সারি নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে কীভাবে খালেদাকে ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা’ করা হচ্ছে: আব্বাস
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিলেট জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ নিতে উপজেলা পরিদর্শন করেছেন
সিলেট সিটি করপোরেশনের (এসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় করপোরেশন প্রস্তুত রয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৭৫ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “বন্যার পূর্বাভাসের কারণে আমরা ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।”