স্টাফ রিপোর্টার ঃ রাজবাড়ী সরকারি কলেজে মাত্র ৪ মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামান। তিনি কলেজ ফান্ড থেকে ১৯ লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করেন। অডিট রিপোর্টে ১৯ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের রিপোর্ট দাখিল করায় তিনি কলেজ ফান্ডে ৫ লাখ টাকা ফেরৎ দিয়েছেন। বাঁকী টাকাও পর্যায়ক্রমে ফেরৎ দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। কলেজের বর্তমান উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামানের এ অর্থ আতœসাতের বিষয়টি শহর জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

১১-১৭ মার্চ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ

কলেজ সুত্রে জানাগেছে, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোস্তফিজুর রহমান অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর দায়িত্ব নেন কলেজের বর্তমান উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামান। তিনি ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজে যোগদান করেন প্রফেসর হোসনেয়ারা খাতুন। নতুন অধ্যক্ষ যোগদান করার পর হিসাবের গরমিল দেখতে পান।

শৈলকুপায় কলেজ ছাত্রকে হাতুড়ি পেটা

সে কারণে তিনি উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীনন (২০২২-২৩ অর্থ বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত) সময়কালের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীন অডিট কমিটি গঠন করেন। কলেজের শিক্ষক প্রফেসর আবুল ওয়ায়েদ মোঃ বাছেদ ঠাকুরকে এ কমিটির আহবায়ক করা হয়। ওই অডিট কমিটি ব্যাংক হিসাব ও খাতাপত্র পর্যবেক্ষণ করে ১৯ লাখ ২০ হাজার ৯শত ৯৭ টাকা নয়ছয়ের হিসাব চুড়ান্ত করেন। চুড়ান্ত হিসাবটি উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামানকে অবহিত করা হয়।

শৈলকুপায় ২ বাড়িতে দস্যুতা ও চুরি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট

উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামান নয়ছয়ের বিষয়টি মেনে নিয়ে কলেজ ফান্ডে অর্থ ফেরত দেওয়ার অঙ্গিকার করেন। সে অনুযায়ী তিনি দুই দফায় ৫লাখ টাকা কলেজ ফান্ডে জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে গত ২৯ ফেব্রুয়ারী তিনি লিখিত ভাবে দরিদ্র তহবিলের ২৫ হাজার টাকা, সংসদ তহবিলের ৫০ হাজার টাকা, কমনরুম তহবিলের ৬০ হাজার টাকা, যাতায়াত তহবিলের ৩০ হাজার টাকা, সাহিত্য ও সাময়িকী তহবিলের ১০ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন তহবিলের ১লাখ ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লাখ টাকা জমা দেন এবং অধ্যক্ষকে অবহিত করে পত্রও দেন। ওই পত্রে লেখা রয়েছে, “আমি রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন তহবিল হতে উত্তোলিত অর্থের অব্যয়িত অংশ জমাদান”।

শৈলকুপায় কলেজ ছাত্রকে হাতুড়ি পেটাঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে ৬ লেনে উন্নীত হলে পাল্টে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা, নির্মাণে ধীরগতি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশা সংশ্লিষ্টদের

অভিযুক্ত কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, হিসেবে ভুল হয়েছিল। যে কারণে তিনি টাকা ফেরৎ দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৫লাখ টাকা ফেরৎ দিয়েছেন।

অডিট কমিটির আহবায়ক প্রফেসর আবুল ওয়ায়েদ মোঃ বাছেদ ঠাকুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন সময়ে ১৯ লাখ ২০ হাজার ৯শত ৯৭ টাকা গ্রহণ করেছিলেন। হিসাব নিরীক্ষা করে তারা এ তথ্যই পেয়েছেন।

রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনেয়ারা খাতুন বলেন, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন সময়ে যে অর্থ গ্রহণ করেছিলেন, তা তিনি ফেরৎ দিতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে ৫ লাখ টাকা কলেজ ফান্ডে জমা দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষতে অবহিত করা হয়েছে।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version