বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বিএনপির অবস্থান

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র সহিংসতার পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, এবং অনেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য বিদেশে পালিয়ে যান। যারা পালাতে পারেননি, তারা দেশের ভেতরে নিরাপদ স্থানে আত্মগোপন করেছেন।

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ, যিনি শেখ হাসিনার শাসনামলে জাতীয় সংসদ ও দলীয় অনুষ্ঠানগুলোতে চটকদার গান গেয়ে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছিলেন, বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ

বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি জনরোষ ও রাজনৈতিক উত্তেজনা থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই দেশত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে, কিছু প্রতিবেদন জানাচ্ছে যে বিদেশ পালাতে ব্যর্থ হয়ে তিনি দেশে আত্মগোপন করেছেন এবং আবারও বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

মমতাজের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন গত চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে, যা তার অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

মমতাজ, যিনি মানিকগঞ্জ-২ আসনে (সিংগাইর-হরিরামপুর-সদরের ৩ ইউনিয়ন) নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হন, পরবর্তীতে শেখ হাসিনার বিশেষ বিবেচনায় ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ সংরক্ষিত নারী আসন-১৫ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এএফডি বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশীদার: ফরাসি রাষ্ট্রদূত

তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ, পদবাণিজ্য, এমপির বিশেষ বরাদ্দের অপব্যবহার, এবং টিআর কাবিখা ও কাবিটা নামে-বেনামে লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তার অনুসারী কর্মী বাহিনী দ্বারা স্বামী ডা. মঈন হাসানের ওপর হামলা এবং প্রয়াত বাবা মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী ও তিন কন্যার প্রতি অবিচারের অভিযোগও রয়েছে।

বর্তমানে মমতাজের whereabouts নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা চলছে, এবং তার গা ঢাকা দেওয়ার খবর রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।

Shober Kotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version