ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রশংসা

বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা ছাত্রলীগ নেতৃত্বাধীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানানো হয়। সভায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন, এবং জাতীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ জানিয়েছে যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মকাণ্ড ঐতিহাসিকভাবে ধর্মীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, স্বাধীনতাবিরোধী কার্যকলাপ ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের সাথে জড়িত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত ও শিবিরের সদস্যরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় গণহত্যা, গণধর্ষণ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। এদিকে, ১৯৮০ সালের দশক থেকে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন এবং মুক্তিযোদ্ধারা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দীর্ঘদিনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রজ্ঞাপনকে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ স্বাগত জানাচ্ছে। একইসঙ্গে, সংগঠনটির সাথে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তির নাম সন্ত্রাসবাদী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার এবং জামায়াত-শিবিরের নিয়ন্ত্রণাধীন সব ব্যবসা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এবং মৌলবাদী কার্যক্রমের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানানো হয়েছে।

এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের সমাজে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতারা।

Shober Kotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version