বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ-ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ শামীম হোসেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বাঙলা কলেজ শাখার সহ-সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মিরপুর ঢাকা বাঙলা কলেজ শাখার কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

সেই কমিটিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বাঙলা কলেজ শাখার সহ-সভাপতি মনোনীত হয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা শহরের পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পবহাটী গ্রামের কৃতি সন্তান, পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শামীম হোসেন।

বিষয়খালীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক বাহিনীর প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ দিবস ১ এপ্রিল

সম্প্রতি ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির অনুমোদন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। মোহাম্মদ শামীম হোসেন, ২০১৫ সালে জেলা শহরের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে কৃত্বিতের সাথে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে ঝিনাইদহ কলেজ (সিটি কলেজ) থেকে এইচএসসি পাস করেন।

২০১৭ সালে ঢাকা বাঙলা কলেজ এর বোটানি ডিপার্টমেন্ট ২০১৭-১৮ সেশন এ অনার্স শেষ করে। বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত আছেন। ঢাকা বাঙলা কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে সুনামের সাথে শিক্ষা জীবন চলমান এবং বাঙলা কলেজ শাখার ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন।

মোহাম্মদ শামীম হোসেন, ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় ছাত্র রাজনীতি। এমনকি কলেজ লাইফ থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল ছোট বয়স থেকে অত্যান্ত দুরন্ত প্রকৃতির খেলাধুলা ও সামাজিক সকল কর্মকান্ড ও মিছিল মিটিং এ তাহার ছিল সরব অংশগ্রহন।

শৈলকুপায় নদীর জায়গা দখল করে যুবলীগ নেতা শামীম মোল্লার ইটভাটা ও পুকুর খনন

শামীম জানান, ছাত্র রাজনীতির প্রতি আমার ছোট বেলা থেকেই একটা টান ছিলো। কারন আমি চাইতাম কিভাবে মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকা যায়। তারপর আমার বন্ধুদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসের সিনিয়র বড় ভাই (লাবু ভাই) এর হাত ধরেই রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।

তবে দীর্ঘ ৮ বছর কলেজ কমিটি না থাকার কারণে অনেক ত্যাগ সংগ্রাম করে আমাকে টিকে থাকতে হয়েছে। তাই অবশেষে গত ২৭ মার্চ বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে। সেই কমিটির শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান প্যানেলে রাজনীতি করে সহ-সভাপতি মনোনীত হয়েছি।

হরিণাকুন্ডুতে ইট ভাটার ট্রাক্টর চাকায় পিষ্ট হয়ে কলেজ শিক্ষক নিহত

তিনি করোনাকালীন সময় এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া মানুষের গোসল ও দাফন কাফন সহ সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন। এছাড়া এলাকা সহ যে কোন দুস্থ-অসহয় মানুষের জন্য তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করেন এবং আসহায় ও দুঃস্থ মানুষের বিপদে তিনি পাশে থেকে কাজ করেছেন।

মোহাম্মদ শামীম হোসেন এর বাবা হারুন ওর রশীদ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মাতা একজন আদর্শ গৃহিনী। বসবাস ঝিনাইদহ শহরের পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পবহাটী এলাকায়।

ঝিনাইদহে ৩৫’শ কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

মোহাম্মদ শামীম হোসেন তার এই পদ প্রাপ্তির বিষয়ে বলেন, শুরুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, মহাবিজয়ের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রকাশিত ঢাকা বাঙলা কলেজ শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দীর্ঘ ৮ বছর পর পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হওয়ায়, ধন্যবাদ জানাচ্ছি ইতিহাসের রোল মডেল, “স্মার্ট বাংলাদেশ” এর রুপকার দেশরত্ম মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।

সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ভাইকে-যারা আমাকে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেছেন। আমি পদের জন্য রাজনীতি কখনও করিনি করবও না।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে কাজ করতে চাই। গরীব অসহায় ছাত্রদের পাশে থেকে এবং অধিকার আদায়ে পাশে ছিলাম থাকব। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করব।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাউবোর ব্রীজ ও সড়ক নির্মাণে ধীরগতিসহ নিন্ম মানের উপকরণ ব্যবহারের প্রতিবাদে মানবন্ধন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে মানবিক হয়ে সকলের পাশে থেকে জননেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার ভিশন-৪১ বাস্তবায়নে পরিকল্পিত উন্নয়ন-আধুনিক আত্মনির্ভরশীল “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই।

এরি অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে নিজের সর্বোচ্চ মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে কাজ করেছি তাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। তাই আমি আমার জেলাবাসী সহ দেশের সকল মানুষের কাছে আমার জন্য দোয়া চাই। যাতে করে আমি পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতি উপহার দিতে পারি।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version