ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কুমার নদের জায়গা দখল করে ইটভাটা ও পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা শামীম হোসেন মোল্লা ও তার পিতা ইউপি চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে।

দীর্ঘ ৭ বছর ধরে অর্ধেক দামে ইফতার সামগ্রী বিক্রী করে চলেছেন ঝিনাইদহের মেজবার

নদীর জাগয়া দখল করে কয়েকটি পুকুর খনন করে সেখানে করা হচ্ছে মাছের চাষ। একই সাথে সরকারি রাস্তা কেটে ইটভাটা করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা শামীম হোসেন মোল্লা ও তার পিতা সাব্দার হোসেন মোল্লা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইনি কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে এক সময়ের খর¯্রােতা নদী কুমার। কুমার নদের উজানে গাড়াগঞ্জ ব্রীজের পশ্চিম পাশে মহেশপুর গাড়াখোলা গ্রামে অন্তত ৩০ বিঘা জমি দখল করে শীলা ব্রীকস নামের ইটভাটা তৈরী করেছে শামীম হোসেন মোল্লা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাউবোর ব্রীজ ও সড়ক নির্মাণে ধীরগতিসহ নিন্ম মানের উপকরণ ব্যবহারের প্রতিবাদে মানবন্ধন

এতে তো গ্রামের মধ্যে বসত-বাড়ির ঘেষে, এলজিইডি’র সড়কের পাশের ফসলী জমি নষ্ট করে ভাটা তৈরী করেছেন তারা। নদীর জায়গায় পুকুর কেটে সেখান থেকে মাটি নিয়ে ইট বানিয়ে সেই পুকুরে করছেন মাছের চাষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, শামীম মোল্লা ও তার পিতা নদী জায়গা দখল করে ইটভাটা করেছে। বছরের পর পর নদীর স্থানে পুকুর কেটে মাছ চাষ করছে। শুধু তাই না সরকারি রাস্তা কেটে ভাটার মধ্যে নিয়ে নিয়েছে তারা।

ঝিনাইদহের রাবেয়া হাসপাতালে অপারেশনের পর প্রসূতির মৃত্যু যশোরে রফা ?

আরেক বাসিন্দা বলেন, রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না। কেউ কিছু বললে তাদের উপর  হামলা চালানো হয়। মারধর করে শামীম ও তার লোকজন। ইট ভাটার কারণে আমরা এলাকায় বসবাস করতে পারি না।

ঝিনাইদহে ৩৫’শ কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ভাটার কালো ধোয়া বাড়িতে চলে আসে। শুধু তাই না। গ্রামের মধ্যে থেকে একটি রাস্তা নদী পর্যন্ত ছিলো। সেই রাস্তা কেটে নিয়েছে। এখন আমরা ইট ভাটার কারণে নদীতে যেতে পারি না। নদী যেন তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি।

অভিযোগের ব্যাপারে শামীম হোসেন মোল্লা বলেন, ৪০ বছর ধরে ইটভাটা করেছি কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। যে অভিযোগ দিয়েছে তাকে আমার কাছে আসতে বলেন। কার এত বড় সাহস। দখলের কোন ঘটনা ঘটেনি।

হরিণাকুন্ডুতে ইট ভাটার ট্রাক্টর চাকায় পিষ্ট হয়ে কলেজ শিক্ষক নিহত

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদি হাসান বলেন, দখলের বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে আমরা তদন্ত করে দেখব। এমন ঘটলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version