বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা নামক স্থানে অবৈধ সীসা কারখানার বিষক্রিয়ায় বুধবার আবারো তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই মালিকের আরো ৫টি গরু অসুস্থ হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে কসাইদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় ১০/১২টি গরু মারা গেছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তর খবর পেয়ে বুধবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।

ঝিনাইদহে ২৫’শত কৃষকের মাঝে পাট বীজ বিতরণ

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন হরিণাকুন্ডুর এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিরুপমা রায়। অভিযানের সময় ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে চারাতলা বাজারের পাশে পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ডালিম মন্ডল তার জমি ভাড়া দিয়ে এই অবৈধ কারখানা পরিচালনা ককরতে সহায়তা করে আসছিলেন। গাইবান্ধা জেলার মশিয়ার রহমান জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিতাড়িত হয়ে চারাতলা বাজারের নির্জন স্থানে অবৈধ সীসা কারখানায় পুরানো ব্যাটারি থেকে সীসা সংগ্রহের কাজ করে আসছিল। এই কারখানা থেকে তীব্র ঝাঝালো এসিডের গন্ধে এলাকার পরিবশে বিপন্ন হতো। কত পক্ষিকুল এসিডের কারণে মারা গেছে।

মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ঝিনাইদহের একমাত্র প্রতিষ্ঠান নবঊষা মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্র

শিতলী গ্রামের আলো জোয়ারদার অভিযোগ করেন, বুধবার ওই কারখানার পাশে তার ৮টি গরু ঘাস খাচ্ছিল। বিষক্রিয়ায় তার ৮টি গরুই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ি আনার পর তিনটি গরু মারা যায়। বাকী পাঁচটি গরু তড়িঘড়ি করে স্থানীয় ইবাদত কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মকলেছুর রহমান জানান, এর আগে ভালকী গ্রামের খেলাফৎ ও পায়রাডাঙ্গা গ্রামের কলিম উদ্দীনসহ একাধিক কৃষকের ১০/১২টি গরু মারা গেছে। এসব গরুর দাম প্রায় ১৫ লাখ টাকা হবে। এই অবৈধ সীসা কারখানা উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসি বহুবার হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রশাসন ও ঝিনাাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানালেও তারা অদৃশ্য কারণে বন্ধ করেনি।

ঝিনাইদহে ১ হাজার পরিবার পেলো ২৫ কেজি করে চাউল ও রমজান উপলক্ষে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ

অবশেষে বিভিন্ন সময় ১০/১২টি গরুর মৃত্যুর পর বুধবার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কারখানাটি সিলগালা করা হয়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার মশিয়ার রহমান এর আগে সদর উপজেলার আসাননগর, বংকিরা, বৈডাঙ্গা ও হরিশংকরপুর গ্রামে এই কারখানা স্থাপনের চেষ্টা করে গ্রামবাসির প্রবল বাঁধার মুখে বিতাড়িত হয়।

ঝিনাইদহে এক যুবকের হাত পাঁ ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা

কারখানা পরিচালক গাইবান্ধা জেলার মশিয়ার রহমান জানান, তিনি ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে এই কারখানা চালিয়ে আসছিলেন। আমার টাকা সবার পকেটে আছে। তিনি দাবী করেন ৪০ জায়গায় তিনি মাসিক টাকা দিয়ে এই ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।

মধুখালীতে এ বছর ২০ কোটি টাকার পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান জানান, আমার লোকবল নেই। একটা অভিযান পরিচালনা করতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ। কিন্তু অফিসের কোন বরাদ্দ নেই। তিনি আরও বলেন, বুধবার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version