আজকের ভয়ংকর সোমালি জলদস্যুদের যে চেহারা আমরা দেখতে পাই, তা কিন্তু ইউরোপীয়দের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে তৈরি হয়েছে। সেই নির্যাতনের আগে এরা কেউ জলদস্যু ছিল না, ছিল অতি সাধারণ মাছ ধরার জেলে।

৯০ এর দশকে যখন সোমালিয়ার সরকার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে তখন এই দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে রহস্যজনকভাবে বেশ কিছু ইউরোপিয় জাহাজ ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।

লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে

এরা সোমালিয়া উপকূলে বড় বড় ব্যারেল ফেলতে থাকে। এই ব্যারেলগুলো ভর্তি ছিল ভয়ংকর ত্যাজিস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ। যার ফলে সোমালিয়ার উপকূলের অধিবাসীরা অসুস্থ হতে শুরু করে, মায়েরা বিকলঙ্গ বাচ্চা জন্ম দিতে শুরু করে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ গাজায় সাহায্য ঘাটির জন্য জাহাজ পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

মূলত ইতালিও মাফিয়াদের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কারখান তাদের এসকল বর্জ্য সোমালি উপকূলবর্তী সমুদ্র সীমানায় ফালায় । এর ফলে নানা রকম পারমাণবিক উপাদান সমুদ্রের পানিতে মিশতে থাকে আর সোমালি জনগণ ভুগতে থাকে নতুন নতুন অসুখে। এই বিষয়ে ক্ষতিপূরণ দেয়া তো দূরে থাক বর্জ্য ফেলা বন্ধেও সাদা চামড়ার ইউরোপ কখনও কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।

ইসরায়েলের হার্জগ আমস্টারডাম হলোকাস্ট যাদুঘর পরিদর্শন করবে, প্রতিবাদ ঘোষণা করেছে

এদিকে প্রায় কাছাকাছি সময় ইউরোপের কিছু বড় বড় মাছ ধরার জাহাজ সোমালিদের সবচেয়ে বড় সম্পদ তাদের সামুদ্রিক মাছ লুট করতে থাকে। মানে সমুদ্র থেকে ইউরোপিয়রা ধরে নিয়ে যেতে শুরু করে।

অসুখ এবং কাজের অভাবে বিপাকে পড়তে শুরু করে সোমালিরা। তারা নানা ভাবে তখন এসব থামাতে চায় কিন্তু , ইউরোপীয়দের থামানো যায় না। এরপর জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে একদল সোমালি বর্জ্য ফেলা বা মাছ ধরা জাহাজকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য তাদের ছোট স্পিডবোট নিয়ে কাজ শুরু করে।

জার্মানির হ্যাবেক বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের ‘কৌশল’ পরিবর্তন করা উচিত

এরপর এরা বুঝতে পারে, এভাবেও কাজ হচ্ছে না। তবে এসব জাহাজকে আটকে যদি লুট করা যায় এবং মুক্তিপণ আদায় করা যায় তাতে আয়ও হবে এবং কাজটাও সহজ হবে।

বাইডেন বলেছেন, গাজা কৌশলে নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলকে আঘাত করছেন’

এরপরই ধীরে ধীরে ভয়ংকর এবং আধুনিক জলদস্যু গড়ে ওঠে এ আঞ্চলে। কারণ সমুদ্রকে এদের চেয়ে ভালো কেউ চেনে না। সোমালি সাধারণ মানুষের কাছে এই জলদস্যুরা মূলত রবিন হুড বা জাতীয় বীর। কারণ তারা তাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছে বলে ৭০ ভাগ সোমালি মনে করে।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version