কামাল হোসেন ঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর গ্রামের হাফেজ মোঃ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর পৈত্রিক জমি,
গাছপালা জবর দখল ও কর্তনের অভিযোগ উঠেছে তার ভাই এবং ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। পেশী শক্তির প্রভাব খাটিয়ে ওই জমির ন্যায্য হিস্যা না বুঝিয়ে
দিয়ে জবর দখলের পায়তারা করছেন তারা।

এমনকি তার নিজ দখলীয় জমির গাছপালা কর্তন, ফল-ফলাদি চুরি, ফসলাদি বিনষ্ট জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন, পুকুরের মৎস ধরে নেওয়া, বসত বাড়ির ঘরে থাকা নানা প্রকার মূল্যবান মালামাল, গোলাই ও চিরাই কাঠ, বাঁশ ও ঢেউটিনসহ ঘরের আসবাবপত্র চুরি ও লুটপাট করে নেওয়া, ভাঙচুর করে বিনষ্ট করা এবং ঘর আগুনে জ¦ালিয়ে দেওয়া ও গৃহপালিত পশুপাখি হত্যা করা এবং বসত ঘরে প্রবেশ করে নানানভাবে অত্যাচার করে পৈত্রিক আমলীয় জমি হতে উচ্ছেদ করে তাদের নিজ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

২ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে কালুখালীতে ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের

অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত হাফেজ আবুল খায়েরের ছেলে আবু জাফর, বিল্লাল হোসাইন, আবু নাছির ও অপরিচিত শাহজাহান, মৃত হাফেজ আজিজুর রহমানের ছেলে আবুল কাশেম, তার স্ত্রী নাছিমা বেগম ও তার ছেলে আব্দুল গাফফার, মৃত আব্দুল মজিদ মুন্সির ছেলে মোসলেম উদ্দিন মুন্সি এবং গোয়ালন্দ মোড়ের নিমতলা গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে আনারুল্লাহ, শামছুল হক, কাজল হক, আমিনুল হক ও কাজল হকের ছেলে আব্দুল কায়ুম, রফিকুল ইসলামসহ  অজ্ঞাত আরও ২৫/৩০ জন।

রাজবাড়ীতে পৈত্রিক জমি ও গাছপালা জবর দখলসহ বিক্রির অভিযোগ

এ বিষয়ে মোঃ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তার পিতা মরহুম আলহাজ¦ হাফেজ আজিজুর রহমান। তারা ৪ ভাই ২ বোন, এর মধ্যে বড় ভাই হাফেজ আবুল খায়ের ও সেঝো ভাই আবুল কালাম ২ ভাই মারা গেছেন। পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিক তারা ৬ ভাই বোন। কিন্তু তার মেঝো ভাই আবুল কাশেম ও মৃত দুই ভায়ের সন্তানেরা যোগসাজসে তার পৈত্রিক জমির ভাগ বাটোয়ারা না করে তার নিজ দখলীয় জমি পেশীশক্তির জোরে জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

উৎপাদিত সাড়ে ৪ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিক্রি হবে রাজবাড়ীর বাজারে উঠেছে নতুন হালি পেঁয়াজ

তারা তার নিজ দখলীয় জমির গাছপালা কর্তন, ফল-ফলাদি চুরি, ফসলাদি বিনষ্ট জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন, পুকুরের মৎস ধরে নেওয়া, বসত বাড়ির ঘরে থাকা নানা প্রকার মূল্যবান মালামাল, গোলাই ও চিরাই কাঠ, বাঁশ ও ঢেউটিনসহ ঘরেরর আসবাবপত্র চুরি ও লুটপাট করে নেওয়া, ভাঙাচুর করে বিনষ্ট করা এবং ঘরে আগুনে জ¦ালিয়ে দেওয়া ও গৃহপালিত পশুপাখি হত্যা করা এবং বসত ঘরে প্রবেশ করে নানানভাবে অত্যাচার করে এবং একাধিকবার মারধরসহ হত্যার চেষ্ঠা চালিয়ে পৈত্রিক আমলীয় জমি হতে উচ্ছেদ করে জোরপূর্বক তাদের নিজ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ইতিপূর্বে নানা সময়ে ও তারিখে অস্ত্রে- সস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে নিজ দখলীয় ভূমির বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ও বাঁশ জোরপূর্বক ও চুরি করে কেটে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার উপরে। এছাড়াও চলতি বছরে ২৮ জানুয়ারি তারা তার নিজ দখলীয় ভূমি হতে প্রায় ১৪৮০টি মূল্যবান বাঁশ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। বাঁধা দিলে তাকে মারধরসহ দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে বাঁশগুলো নিয়ে যায়।

র‌্যাবের অভিযানে বালিয়াকান্দি থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার

এছাড়াও নিজ ঘরে অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকা রেখে মিথ্যা মামলায় জরিয়ে প্রায় আরও ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এমনকি তার বাবার মৃত্যুর সময়ে ফরিদপুর হেড পোষ্ট অফিসে রেখে যাওয়া নগদ প্রায় লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে তারা আত্মসাৎ করেন। সম্প্রতি রাতের আঁধারে তার ঘরে ঢুকে তাকে হত্যার চেষ্টাসহ তার কন্যাদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টাও করেন তারা।

নিজ দখলীয় ভূমিতে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান গাছপালা, ফসল-ফলাদি কেটে নিয়ে যাবে এক্ষেত্রে বাঁধা দিলে তাকে মেরে ফেলে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিবেন বলেও হুমকি প্রদান করেন তারা। এমতাবস্থায় ৪ কন্যা নিয়ে সে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তিনি। এ ব্যাপারে সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে রেলপথ মন্ত্রী ঈদযাত্রা নির্বিঘ করতে ট্রেন ও বগির সংখ্যা বাড়বে অনলাইন ও অফলাইনে টিকেট বিক্রি হবে

তিনি আরও জানান, রঘুনাথপুর মৌজার এসএ ৫৩৮ নং খতিয়ানভূক্ত, এসএ ৫৬৪ ও ৬০৭ এবং ৬৩০ নং খতিয়ানভুক্ত, আরএস ৫৫৫ ও ৫৫৬ নং খতিয়াভুক্ত, এসএ ৩৫২ নং খতিয়ানভুক্ত এবং নিমতলা মৌজার এসএ-৩৫ নং খতিয়াভুক্ত। এছাড়াও বাদীর পিতার স্বত্ত¦ দখলীয় ধুলদী লক্ষিপুর এবং নিমতলা মৌজার মধ্যে যথাক্রমে আরএস ও এসএ-৫৬৫, ৫৩৪, ৫৩৫, ৫৪৮, ৬২০, ৩২৪, ৮১৭ নং খতিয়ানসহ সর্বমোট ১৫ টি খতিয়ানভুক্ত পৈত্রিক সর্বমোট ১৪৩১ শতাংশ ভূমির মধ্যে পৈত্রিক ও মাত্রিক সূত্রে ১ এর ৫ম অংশে মোট ২৮৫.২ শতাংশ, ক্রয় সূত্রে ৮৩ শতাংশ, দানসূত্রে ৩৫ শতাংশ, ব্রাদারী অংশে ৫ শতাংশ এবং নিমতলা মৌজায় পিতার স্বত্ত্ব দখলয়ি ৩৪ শতাংশ ভূমিসহ মোট ৪৪২.২ শতাংশ ভূমির দাবিদার তিনি।

মোঃ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তার বড় ভাই আবুল খায়ের মাতা- পিতার কতক সম্পত্তি জাল-জালিয়াতি করে প্রতারনা করে আতœসাৎ করে।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শালিসী বৈঠক হলেও সম্পত্তি ফেরত প্রদানের আশ^াস দিলেও তা আজ পর্যন্ত ফেরত প্রদান করেনি।

মন্ত্রিসভায় শপথের জন্য ডাক পেলেন ৭ জন

১৯৮৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় ১৪জন গণ্যমান্য ব্যক্তি সরেজমিনে বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে আমার পিতা মরহুম হাফেজ আজিজুর রহমান ও মাতা মরহুম ফাতেমা বেগমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে লিখিত ভাবে ভাগ বন্টন করে দেন। তার কোন বাস্তবায়ন আবুল খায়ের ও আবুল কাসেম অদ্যবদী করতে দেয়নি। মরহুমা ফাতেমা বেগমের স্বামীর ২ আনা অংশের ১৪৩ শতাংশ সম্পত্তি পান।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version