জহুরুল ইসলাম হালিম ঃ জ¦ালানী সংকটের কারণ দেখিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে বন্ধ হওয়া সরকারী এ্যাম্বুলেন্স সেবা অবশেষে ব্যক্তিগতভাবে জ¦ালানী খরচ বহন করে জুন মাস পর্যন্ত চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন রাজবাড়ীরগোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোস্তফা মুন্সি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হকের সাথে আলোচনার পর এলাকার নদী ভাঙন কবলিত ও হতদরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা
করে এ উদ্দ্যোগ নেন।

গোয়ালন্দে ডিবি পুলিশের অভিযানে নগদ টাকাসহ ৩ জুয়ারী গ্রেপ্তার

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, ২০১০ সালে এ হাসপাতালটি ২০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত রোগী ও গোয়ালন্দ উপজেলার দেড় লাখ মানুষ এ হাসপাতাল থেকে সর্বোচ্চ সেবা গ্রহণ করেন।

জনগুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে অন্তত ৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরমধ্যে গুরুতর অনেক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজবাড়ী সদর ও পার্শ^বর্তী জেলা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজহাসপাতালে পাঠানো হয়। সরকারী এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অনেক সময় রোগীর স্বজনেরা বাড়তি অর্থের সঙ্গে ভোগান্তিতে  পড়ছেন।

রাজবাড়ীতে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

হাসপাতালে আগত রোগীর স্বজন আল আমিন, শহিদুল ইসলাম, আঃ আলীম বলেন, মূমুর্ষ রোগীর জন্য এ্যাম্বুলেন্স সেবা যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা রোগীর স্বজনেরাই জানেন। হাসপাতালটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় এ উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত রোগীরাও এ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।

তারা বলেন, এ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় মূমুর্ষ কয়েকজন রোগী বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে ফরিদপুর নিয়েছেন।

এতে অর্থের সঙ্গে নষ্ট হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সময়। সরকারী এ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহনে রোগী পর্যায়ে সীমিত ব্যয় হয়। কিন্তু বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে সেই ব্যয় আরও তিনগুন বাড়ে। ফলে রোগীর স্বজনদের বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহনে অর্থের সঙ্গে বেড়েছে ভোগান্তিও।

মোবাইল রাজবাড়ীতে গলায় ফাঁস নিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীসহ ৩ জনের আত্তহত্যা

আর ভোগান্তি লাঘবে আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে এ্যাম্বুলেন্সের জ¦ালানী তেলের দায়িত্ব নিয়েছেন পাশাপাশি তার নিজের একটি এ্যাম্বুলেন্সও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সার্বক্ষনিক ব্যবহারের জন্য দিয়েছেন। এখন থেকে আর কোন রোগীকে এ্যাম্বুলেন্সের সমস্যায় পড়তে হবে না।

তার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক বলেন, প্রতি বছর প্রায় ১৫ লাখ টাকার জ্বালানী তেল ব্যয় হয় সরকারী এ্যাম্বুলেন্সে। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাজেট শাখা থেকে বরাদ্দ আসে ১০ লাখ টাকা।

ঝিনাইদহের হাটগোপালপুরে মিস্ত্রি প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

গত অর্থ বছরে মে-জুন মাসের বকেয়াসহ চলতি অর্থ বছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তেল বাবদ প্রায় ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। কিন্তু পূর্ববর্তী বছরের বকেয়া প্রায় ৬ লাখ টাকা গত বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ করার অনুরোধ জানান।

অন্যথায় ফিলিং স্টেশন থেকে ডিসেম্বরের পর থেকে বাৎসরিক চুক্তিতে যে জ্বালানী তেল নেয়া হতোতা বন্ধ করা মর্মে পত্র দেন। কিন্তু বিশেষ অনুরোধে চলতি বছরে জানুয়ারী পর্যন্ত তেল দিলেও ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে বাধ্য হয়ে এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে। তবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সংকট নিরসনে আগামী জুন মাস পর্যন্ত জ¦ালানী তেলের খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন।

তিনি একজন মানবিক মানুষ। তার এ সিদ্ধান্তে এখন থেকে এ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত রোগীরা ২৪ ঘন্টাই এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন।

রাজবাড়ীতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৫১ শিক্ষার্থী

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোস্তফা মুন্সি বলেন, এ হাসপাতালটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে হওয়ায় দুর-দুরান্ত থেকে আগত রোগী ও এ উপজেলার প্রায় ২ লাখ দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় একমাত্র ভরসা এ হাসপাতাল।

এখানে এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় রোগীর স্বজনের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের আগামী জুন মাস পর্যন্ত জ¦ালানী তেলের খরচ বহন করেছি এবং আমার নিজের এ্যাম্বুলেন্সটিও সার্বক্ষনিক ব্যবহারের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছি।

এ এলাকার মানুষ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় তার জন্য যা যা করনীয় তার সবই করবো ইনশাআল্লাহ।

shoberkotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version