সোহেল রানা ঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দতে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসচাপায় আকবর মল্লিক (৬০) নামে বাইসাইকেল আরোহী কাপড় ব্যবসায়ী ও এম এম পরিবহনের চাপায় রনি মন্ডল (৩০) নামে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। আকবর মল্লিক রাজবাড়ী সদর থানার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের
মুকুন্দিয়া গ্রামের মৃত মোনছের মল্লিকের ছেলে।
তিনি গোয়ালন্দে বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। রনি মন্ডল গোয়ালন্দ উপজেলার গোয়ালন্দ রেল গেইট এলাকার আজাদ মন্ডলের ছেলে। এসময় শিল্পী বেগম, কাসেম আলী, আমেনা বেগম, মাহমুদ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহী রনি মন্ডলকে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান তার মৃত্যু হয়েছে।
শিল্পী বেগম ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা প্রায় ৬ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা সহ বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করেছে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) সোয়া ১ টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জমিদার ব্রীজ এলাকায় গোল্ডেন লাইন (কুষ্টিয়া ঘ ১১-০০৪৮) পরিবহনের দু’টি বাস বাইসাইকেল আরোহী ও মাহেন্দ্র গাড়ীকে ধাক্কা দেয় ও বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এমএম পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী স্ত্রীকে চাপা দেয়।
তুরাগতীরে লাখো মুসল্লির জুমার জামাত আদায়
এ দূর্ঘটনা ঘটে। গোল্ডেন লাইন পরিবহনে থাকা এক যাত্রী জাকির হোসেন বলেন, পরিবহনের চালক এক হাতে মোবাইলে কথা বলছিল আর অন্য হাত দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন দ্রুত গতিতে। তাকে বারবার ফোনে কথা বলতে নিষেধ করলেও তিনি কারো কোন কথাই শুনছিলেন না। এর মধ্যে জমিদার ব্রীজ এলাকায় আসলে বিকট শব্দ শুনতে পান। চালক গাড়িটি না থামিয়ে চালিয়ে আসতে থাকে।
এখনো রিটার্ন জমা দেননি ৬৩ শতাংশ করদাতা
এসময় গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে আসলে পুলিশ গাড়িটিকে আটকিয়ে দেয়। চালক ও সহকারী চালক দু’জনে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী জবেদা বেগম বলেন, অটো বাইকের জন্য মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি। দেখছি ওই লোকটি গোয়ালন্দ দিক থেকে রোডের পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছেন। এমন সময় গোয়ালন্দ মোড়ের দিক থেকে হঠাৎ করে একটি গাড়ি এসে তাকে জোরে ধাক্কা দেয়।
জাপার কাকরাইল অফিসের দখল নিলেন রওশনপন্থিরা
সে তখনই সাইকেল নিয়ে রোডের পাশে পড়ে যায়। এ সময় আমি সহ আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে একটি ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে
আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রনি মন্ডলের মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা অন্তত ২০টি গাড়ী ভাংচুর করে।
সড়ক অবরোধ করায় জমিদার ব্রীজ থেকে খানখানাপুর এলাকা পর্যন্ত সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। নিহত রনির আতœীয় সোবহান বলেন, এম.এম পরিবহনের বাস মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীকে চাপা দিয়ে মোটরসাইকেলটি প্রায় এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় শিল্পী ও তার স্বামী রনিকে প্রথমে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
বিএনপি নয়, দ্রব্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত আ.লীগ : কাদের
সেখানে চিকিৎসাধীন রনি মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে। আলাদিপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, গোল্ডেন লাইন পরিবহন ও এম এম পরিবহনের বাস দু’টিকে আটক করেছি।
চালক ও সহকারি চালক পালিয়ে গেছে। জনতার দাবীর প্রেক্ষিতে স্পিড ব্রেকার দেওয়া হচ্ছে। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ৩টি পৃথক সড়ক দুঘর্টনার পর স্থানীয়রা সড়কটি অবরোধ করে রাখে।
পরে তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে স্প্রিড ব্রেকার দেওয়ার পর জনতা সড়ক ছেড়ে দেয়।
