ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হল

বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার রাতে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন যে, রাষ্ট্রপতি এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠক সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বৈঠকে ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকের আগে, রাষ্ট্রপতি এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের এক দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৬টার দিকে ১৩ সদস্যের ছাত্র প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। এক ঘণ্টা দেড়েক পর, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিন বাহিনীর প্রধানরা বঙ্গভবনে আসেন। এছাড়া, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে এ কে আজাদ বলেন, দেশে নানা জায়গায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটছে এবং পুলিশ কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। তিনি উল্লেখ করেন যে, কারখানার নিরাপত্তা না দিলে ব্যবসা চালানো অসম্ভব হবে এবং দেশের অর্থনীতির সুষ্ঠু কার্যক্রমের জন্য ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

রাত ১১টার দিকে বৈঠক শেষ হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে বঙ্গভবন ত্যাগ করেন। এ সময় গাড়ির সামনে এবং পেছনে সেনাবাহিনীর জিপ দেখা যায়। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে, তারা এবং তিন বাহিনীর প্রধান, এ কে আজাদ বঙ্গভবনের অভ্যন্তরে অবস্থান করছিলেন।

এই সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে এবং এটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Shober Kotha

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version