শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, ১৯৮১ সালে তার দেশে ফিরে আসার পর থেকে নানা রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো গণভবনের বরাদ্দ নিয়ে তার একটি সময় বাধ্যতামূলকভাবে গণভবন ছাড়ার ঘটনা।
সম্প্রতি গণভবনকে একটি ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তর করার প্রস্তাব ওঠে, যেখানে ২০০১ সালের রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলি প্রদর্শিত হতে পারে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে এবং শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। গণভবন তখন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। তবে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান। এরপর ২০০১ থেকে ২০০6 সাল পর্যন্ত তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করার সময়ও শেখ হাসিনা গণভবনে বসবাস করতে থাকেন। তবে ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকারের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে গণভবন ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়। বিএনপি সরকারের দাবি ছিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আর গণভবনে থাকার অধিকার রাখেন না। এর ফলে তিনি নিজের পারিবারিক বাসভবন সুধা সদনে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
গণভবন ছাড়ার এই ঘটনাটি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয়েছিল। শেখ হাসিনার জন্য এটি একটি বড় আঘাত ছিল, কিন্তু তিনি এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন এবং বিরোধী দল হিসেবে রাজনীতি চালিয়ে যান। ২০০৭-২০০৮ সালে সামরিক সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তবে পরে তিনি মুক্তি পান এবং ২০০8 সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে, যার ফলে তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হন।
গণভবনকে ঘিরে যে রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক বিতর্ক রয়েছে, তা বাংলাদেশের আধুনিক রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঢাকার শেরে বাংলা নগরে বিশাল জায়গা জুড়ে যে স্থাপনাটি ‘গণভবন’ নামে পরিচিত, সেটির সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নানা ঘটনা ও সময়কাল গভীরভাবে সম্পর্কিত।
গণভবনের প্রাথমিক ইতিহাস
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গণভবনটি মূলত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল, তবে তিনি সেখানে বসবাস করেননি। মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন, যা পরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। গণভবন তখন মূলত তার অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যেখানে তিনি বিকেল ও সন্ধ্যাবেলা কাজ করতেন। মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর গণভবন বেশ কিছুদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
গণভবন মূলত ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত একটি সরকারি স্থাপনা। এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত বাসভবন এবং অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৭১ সালের পর এটি প্রথমত রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য ব্যবহৃত হতে থাকে। শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে এটি সরকারি অতিথি ভবন হিসেবে কাজ করলেও, শেখ মুজিব নিজে সেখানে বাস করেননি। তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে বসবাস করতেন, যা পরবর্তীতে “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর” হিসাবে রূপান্তরিত হয়।
এরপর সামরিক শাসনামলের সময় জেনারেল এরশাদ গণভবনকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হিসেবে ব্যবহার করেন এবং এর নাম পরিবর্তন করে “করতোয়া” রাখা হয়। এটি তখন মূলত বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হতো।
মাকে বলেছিলেন, “আমরা দেশ বদলাতে যাচ্ছি মা, আমি আসব, তুমি চিন্তা করো না।” কিন্তু সেই আসা আর হলো না।
১৯৮৫ সালে সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ গণভবনটি সংস্কার করে এটিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পরিণত করেন এবং নাম দেন ‘করতোয়া’। এটি বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারি অতিথিদের জন্য ব্যবহৃত হতে থাকে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী একসময় এখানে অবস্থান করেছিলেন। এরপর ‘করতোয়া’ ভবনটি কখনো কখনো রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত হলেও তেমনভাবে উল্লেখযোগ্য ব্যবহার হয়নি।
শেখ হাসিনার গণভবনে বসবাস
শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর গণভবনে বসবাস শুরু করেন এবং এর নামকরণ হয় পুনরায় “গণভবন”। তবে ২০০১ সালে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে শেখ হাসিনা গণভবনে থাকাকালীন রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে পড়েন। বিরোধী দল বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া দাবি করেন, শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই গণভবন ছেড়ে যেতে হবে।
এটি নিয়ে তখনকার সময়ে প্রচুর রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিএনপি দাবি করে, শেখ হাসিনা গণভবনে থাকার মাধ্যমে প্রশাসনিক সুবিধা পেতে পারেন, যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে গণভবন ছেড়ে যান।
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের গ্রেপ্তার ও ৭ দিনের রিমান্ড
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন এবং তিনি গণভবনে বসবাস শুরু করেন। তখন ভবনের নাম আবার পরিবর্তন করে ‘গণভবন’ করা হয়। শেখ হাসিনার শাসনামলে গণভবন কেবল তার বাসভবনই ছিল না, বরং সরকারের প্রশাসনিক কাজকর্মেরও কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। সেই সময় থেকে গণভবন বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসে।
২০০১ সালের বিতর্ক
২০০১ সালে শেখ হাসিনার প্রথম দফা শাসন শেষ হওয়ার পর, তিনি গণভবনে বসবাস অব্যাহত রাখতে চেয়েছিলেন। তবে তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বিএনপি তখন ক্ষমতায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং শেখ হাসিনার গণভবনে থাকা নিয়ে সমালোচনা তীব্র হতে থাকে। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বিশেষভাবে আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তাকে অবশ্যই গণভবন ছাড়তে হবে।
এসময় শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে, এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দাবি করতে থাকে যে শেখ হাসিনা গণভবনে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। একইসঙ্গে তারা দাবি করেছিল যে, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা এবং তার জন্য বরাদ্দকৃত সুবিধাগুলি বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক।
শেখ হাসিনার পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে, তার নিরাপত্তার কারণে গণভবনই তার বসবাসের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। তার উপর আগের হত্যার হুমকি ও ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে তার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক চাপের কারণে শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট গণভবন ছেড়ে দেন।
শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানার জন্য “জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন ২০০১” সংসদে পাশ করা হয়েছিল। এই আইনের আওতায় শেখ হাসিনাকে গণভবন এবং শেখ রেহানাকে একটি সরকারি বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছিল। বিএনপি এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন দাখিল করেছিল, যেখানে তারা এই আইনকে অসাংবিধানিক এবং বৈষম্যমূলক বলে দাবি করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিএনপির অবস্থান
বিএনপি তখন ক্ষমতায় আসার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে শেখ হাসিনার গণভবনে থাকার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিএনপি একটি রিট আবেদন করে, যেখানে তারা যুক্তি দেয় যে, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা ও আবাসনের জন্য বরাদ্দকৃত আইনটি বৈষম্যমূলক এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। তারা দাবি করে যে, শেখ হাসিনা গণভবনে থেকে নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারেন।
বিএনপি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল গণভবনে থাকার আইনগত অধিকার নিয়ে প্রশ্ন। তারা যুক্তি দিয়েছিল যে, সরকার পরিবর্তনের পর একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্য এমন সুবিধা দেওয়া ঠিক নয়। যদিও এই রিট পিটিশন নিয়ে বড় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তবে রাজনৈতিক চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা গণভবন ছাড়তে বাধ্য হন।
খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি বিতর্ক
এই পুরো ঘটনাটি আরো জটিল হয়ে ওঠে যখন আওয়ামী লীগ পাল্টা দাবি করে যে, খালেদা জিয়াও তার সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে দেবেন। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর, খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলে সেনানিবাসে একটি বাড়ি পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়ার এই সুবিধাকে নিয়েও প্রশ্ন তোলে, এবং দাবি করে যে, সেটিও বেআইনি ছিল।
২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যখন এই দুটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে, তখন উভয়পক্ষই পাল্টা অভিযোগে লিপ্ত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা গণভবন ছাড়লেও, খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ির বিতর্ক আরো দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকে।
শহীদি মার্চ কর্মসূচী ঝিনাইদহে পালিত, ৫ সেপ্টেম্বর
গণভবনের বর্তমান ব্যবহার
২০০১ সালের ১৬ আগস্ট শেখ হাসিনা গণভবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তখন বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে আহ্বান জানান, যেন তিনি তার সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে দেন। শেখ হাসিনা এও বলেছিলেন যে, গণভবনে থাকার ব্যাপারে কোনো ব্যক্তিগত দাবি তার ছিল না, বরং এটি নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছিল। গণভবন ছাড়ার সময়, তিনি খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি নিয়েও তিক্ত মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসার পর, তিনি গণভবনে বসবাস শুরু করেন। প্রথমে তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’-তে উঠেছিলেন, তবে গণভবন সংস্কার শেষে ২০১০ সালের মার্চ মাসে তিনি সেখানে পুনরায় বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে শেখ হাসিনার শাসনামলের বেশিরভাগ সময়েই তিনি গণভবনে বসেই সরকারি কাজ পরিচালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বদলে গণভবন থেকে সরকার ও দলের বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।
গণভবন এবং রাজনৈতিক আন্দোলন
গণভবন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন নয়, বরং বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন, বিতর্ক এবং সংঘাতের কেন্দ্রস্থল হিসেবেও চিহ্নিত। বিশেষ করে ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর, যখন ছাত্র-জনতা গণভবনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছিল, শেখ হাসিনা সেখান থেকে কৌশলগতভাবে অন্যত্র সরে যান। এমনকি তাকে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য কুর্মিটোলা বিমানবন্দর ব্যবহার করতে হয়েছিল, যেটি ওই সময়ের রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
গণভবন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
গণভবনকে ঘিরে সবসময়ই নানা রাজনৈতিক মতভেদ ও বিতর্ক রয়েছে। তবে শেখ হাসিনার অধীনে এটি কেবল একটি বাসভবন নয়, বরং এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি প্রতীকী স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো গণভবনকে নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন তুলে এসেছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলের সময় থেকে এটি বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের জন্য বিতর্কিত একটি ইস্যু হয়ে ওঠে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান পাটওয়ারীর মরদেহ উত্তোলন
শেখ হাসিনার গণভবন ছাড়ার পর তা কিছুদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। তবে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার পর, শেখ হাসিনা আবারো সেখানে বসবাস শুরু করেন এবং এর পরে এটি তার সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। তবে তার শাসনামলে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে না গিয়ে গণভবনে থেকেই অধিকাংশ কাজ পরিচালনা করেছেন।
বর্তমানে, গণভবনকে কেন্দ্র করে নতুন কোনো বিতর্ক বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো বড় ইঙ্গিত নেই, তবে রাজনৈতিক পরিবর্তন ও নতুন ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে গণভবনের অবস্থান বা এর ব্যবহার নিয়ে নতুন আলোচনা হতে পারে।