ঝিনাইদহের বিষয়খালীতে প্রীতি ফুটবল খেলায় ২-১ গোলে বিবাহিত একাদশ বিজয়ী
ঝিনাইদহের বিষয়খালীতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ: বিবাহিত বনাম অবিবাহিত একাদশ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী শহীদ মোস্তফা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে গত শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি ছিল এক উত্তেজনাপূর্ণ ও আনন্দময় ঘটনা। এই খেলায় অংশগ্রহণ করে বিবাহিত ফুটবল একাদশ এবং অবিবাহিত ফুটবল একাদশ। খেলাটি স্থানীয় ক্রীড়া উন্মাদনা ও সামাজিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করেছে।
খেলার উদ্বোধন ও উপস্থিতি:
খেলার উদ্বোধন করেন সদর উপজেলার ৭ নং মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম মিঞা। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক বসির আহাম্মেদ, সমাজসেবক আব্দুল বারি সরদার, আলীম সরদার, আকবর আলী সরদার, এবং দবির আলী। তাঁদের উপস্থিতি ও সহায়তায় খেলাটি আরো উজ্জ্বল ও স্মরণীয় হয়ে ওঠে।
খেলার ফলাফল:
খেলা শুরু হওয়ার পর দ্রুতই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিবাহিত ফুটবল একাদশ প্রথম গোলটি করেন ইউপি চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম মিঞা, যিনি নিজের দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গোল উপহার দেন। পরবর্তীতে, শরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় গোলটি করে বিবাহিত একাদশকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান। অবশেষে, অবিবাহিত ফুটবল একাদশের জন্য একমাত্র গোলটি আসে বিবাহিত একাদশের খেলোয়াড় মহিদুল ইসলামের আত্মঘাতী গোলে, যা তাদের ব্যবধান কমিয়ে দেয়।
উপস্থিত দর্শক ও খেলার পরিচালনা:
খেলা দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন শত শত ফুটবল প্রেমিক। মাঠে ক্রীড়াপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস ও উৎসাহ ছিল স্পষ্টভাবে অনুভূত। খেলাটি পরিচালনা করেন নাহিদ হাসান, যিনি খেলার নিয়ম ও মনোযোগপূর্ণ পরিচালনা নিশ্চিত করেন। লাইসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুকুল হোসেন ও আরিফুল ইসলাম, যারা খেলাটির সুষ্ঠু ও সঠিক পরিচালনায় সহায়তা করেন।
সামাজিক প্রভাব ও গুরুত্ব:
এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি শুধু একটি ক্রীড়ামুখর প্রতিযোগিতা ছিল না, বরং এটি স্থানীয় সমাজের মধ্যে একতা ও সাম্যবোধকে বৃদ্ধি করেছে। খেলাটি এলাকার তরুণদের মধ্যে খেলার প্রতি আগ্রহ এবং সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। খেলোয়াড়দের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দর্শকদের উদ্দীপনা, উভয়ই খেলাটিকে একটি স্মরণীয় ঘটনা করে তুলেছে।
এই ধরনের খেলা স্থানীয় পর্যায়ে ক্রীড়ার মান উন্নয়ন এবং সামাজিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি এলাকার মানুষদের একত্রিত করে, তাদের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করে এবং ক্রীড়া সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটায়।