পুকুরে গোসল করতে নেমে একদিন পর ভেসে উঠল মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় পানিতে ডুবে মারা গেছেন সিয়াম হোসেন (১৪) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র। শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে উপজেলার শিতলী গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সিয়াম জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পারখিদ্দাহ গ্রামের শামিম হোসেনের ছেলে এবং শিতলী বেগম রোকেয়া খাতুন নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন।
ঘটনার বিবরণ:
মাদ্রাসার সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সিয়াম হোসেন ২৬ জুলাই শুক্রবার দুপুরে সহপাঠীদের সাথে মাদ্রাসার পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যান। অন্য ছাত্ররা গোসল শেষ করে প্রতিষ্ঠানে ফিরে এলেও সিয়াম ফেরেনি। বিকেল ৩টার দিকে তাকে না পেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং পরে জানা যায় যে, সিয়াম পুকুরে গোসল করতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। ওই পুকুরে মাছ ধরার জাল ফেলা হলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে শনিবার সকালে পুকুরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
মৃত্যুর কারণ ও তদন্ত:
হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, সিয়াম হোসেন সাঁতার কাটতে জানতেন না, যা তার পরিবারের সদস্যদের এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
এমপি আনার হত্যার আসামী বাবুকে নিয়ে মোবাইল উদ্ধারে ঝিনাইদহে অভিযান চলছে.
প্রতিক্রিয়া ও পরিণতি:
এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ সতর্কতা ও সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। সাঁতার শেখার মাধ্যমে শিশুরা পানির বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারে, যা এই ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যুর হাত থেকে তাদের নিরাপদ রাখবে।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ:
এ ঘটনায় প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিশুদের জন্য সাঁতার শেখানোর প্রোগ্রাম চালু করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এটি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ভবিষ্যতে পানির দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।