কামাল হোসেন ঃ রাজবাড়ী সদরের লক্ষীকোল গ্রামের বাবা সাইদুর রহমান বাবুর মৃত্যুতে ১০ দিন পূর্বে ৫ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি এসেছিল এলিনা ইয়াসমিন।
দাফন শেষে বেনাপোল ট্রেনে ভাই-ভাবির সঙ্গে সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে দুবৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে মারা গেল এলিনা ইয়াসমিন। সে মিরপুর ৬০ ফিটের বাসিন্দা সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী।
মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে রাজবাড়ীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার দিনগত রাতে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলিনা ইয়াসমিনসহ আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন ৪ জন।
এলিনা ইয়াসমিনের ভাসুর মুরাদ হোসেন বলেন, ১০ দিন আগেই এলিনার বাবা মারা যান। এ জন্যই সে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি যায়।
বাড়ি থেকে ফেরার সময় এলিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে পাঁচ মাস বয়সী ছেলে সৈয়দ আরফান এবং তার ভাই মোঃ মামুন ও ভাবী ছিলেন। মোঃ মামুনের মাধ্যমেই ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাই। আরফান ও তার মামা-মামী ট্রেন থেকে বের হতে পারলেও এলিনাকে দেখা যায়নি।
তারা ধারণা করছিল সে ট্রেনের ভেতর পুরে মারা গেছে। মর্গে আনা চার জনের মরদেহের মধ্যে এলিনাও রয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক সেতাফুর রহমান বলেন, মরদেহ চারটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।
প্রাথমিকভাবে দেখে এদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন শিশু এবং বড় চুল দেখে একজনকে নারী হিসেবে সনাক্ত করা গেছে। বাকি একজন পুরুষ না কি নারী তা দেখে বোঝার উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, রাতেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ চারটি মর্গে রাখা হয়। শনিবার ময়না তদন্ত হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।