ঝিনাইদহের সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামে ১৪ বছর বয়সী স্কুলছাত্র সোহানকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোহান নগরবাথান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল এবং তার পিতা শহিদুল ইসলাম এই ঘটনার জন্য সরাসরি ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ঝিনাইদহে দৈনিক কালবেলার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন
মামলার প্রধান আসামি হিসেবে নাম উঠে এসেছে নগরবাথান গ্রামের সাকিব (২৭) এর, যিনি জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনার দিন সাকিব এবং তার অজ্ঞাত বন্ধুদের সঙ্গে সোহানকে ঢাকার ৩০০ ফিট এলাকায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সোহানের বাবা শহিদুল ইসলাম তার ছেলেকে বাড়ি ফেরার জন্য ফোন করলে সোহান জানায় যে, সে ঝামেলায় পড়েছে।
বার বার নেতা পরিবর্তন না করে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন করুণ তবেই দেশে ইনসাফ-ঝিনাইদহে পীর সাহেব চরমোনাই
এরপর শহিদুল সাকিবকে ফোন করলে সাকিব তাকে গালিগালাজ করে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করে। কিছুক্ষণ পরে, ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে শহিদুলকে ফোন করে সোহানের দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছে শহিদুল দেখেন, সাকিবের দুই ফুফু ডায়রি খাতুন এবং আরজিনা খাতুন সেখানে উপস্থিত আছেন।
সোহানের পিতা শহিদুল অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে থাকাকালীন সাকিবের পিতা আব্দুল আজিজ তাকে হুমকি দেয় কোনো ঝামেলা না করার জন্য। এছাড়া সাকিবের ফুফা আরব আলী তাকে শিখিয়ে দেয় যে, পুলিশ এলে যেন তিনি বলেন সোহান দুর্ঘটনায় মারা গেছে।
শৈলকুপায় চাঁদাবাজি থেকে রক্ষা পাচ্ছে না নিজ দলীয় কর্মীরাও!
সোহানের এই রহস্যজনক মৃত্যু এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। গ্রামবাসীরা জানায়, সাকিবের ফুফু ডায়রি খাতুন এবং আরজিনা ঢাকায় মানুষের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, এবং তারা ইতিমধ্যে ঢাকায় ও ঝিনাইদহে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ও জমি কিনেছেন।
ঝিনাইদহে আড়াই বিঘা জমির পাকা ধান পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি সদ্য যোগদান করেছেন, তাই এই বিষয়ে তার বিস্তারিত জানা নেই। তবে, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ঝিনাইদহে স্কুল শিক্ষক হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন
সোহানের রহস্যজনক মৃত্যু এলাকায় শোক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে যথাযথ বিচার দাবিতে মামলা করা হয়েছে, এবং পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। জমিজমা নিয়ে বিরোধ থেকে সৃষ্ট এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।