অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ ত্বকের চিকিৎসা শেষে পুনরায় নিজের দায়িত্ব পালনে ফিরে এসেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যম বাসসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জালিম সরকারের সিন্ডিকেট এখনও চলছে, তা ভাঙা সম্ভব হয়নি: জামায়াতের আমির ডাঃ শফিকুর রহমান
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বৃহস্পতিবার সামরিক হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি ত্বকের একটি ছোট ক্ষতের চিকিৎসা নেন, যা সফলভাবে অপসারণ করা হয়। সামান্য শারীরিক সমস্যার কারণে তাকে কিছুক্ষণ হাসপাতালে থাকতে হয়। তবে এই চিকিৎসা কোনো গুরুতর সমস্যার কারণে ছিল না; এটি একটি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ছোট একটি অপারেশন। চিকিৎসা শেষে ড. ইউনূস শুক্রবার সকালে পুনরায় নিজের সরকারি দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন বলে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান।
বিগত জালিম সরকারের সিন্ডিকেট এখনও বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে: জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ এবং সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা হিসেবে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত, বর্তমানে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ে তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং সংস্কারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা। আগামীকাল শনিবার তিনি বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা
এই সংলাপ প্রক্রিয়াটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ বাংলাদেশ বর্তমানে একটি জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি। রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার একটি সমঝোতার ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই আলোচনায় বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে।
ঝিনাইদহে দৈনিক কালবেলার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন
ড. ইউনূস তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশকে দারিদ্র্য বিমোচন এবং ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে পরিচিত করেছেন। এদিকে, তাঁর নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করতে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছ থেকে এই সরকার এবং সংলাপ প্রক্রিয়া ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে।
সরকার এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে চলমান সংলাপের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কমানোর একটি কার্যকরী মাধ্যম হতে পারে। দেশে সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল, অবরোধ এবং সহিংসতার প্রেক্ষিতে এই ধরনের সংলাপের মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধান আসার আশা করা হচ্ছে। ড. ইউনূস তার অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি সমঝোতা ভিত্তিক রাজনৈতিক সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, যা দেশে স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে।
বার বার নেতা পরিবর্তন না করে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন করুণ তবেই দেশে ইনসাফ-ঝিনাইদহে পীর সাহেব চরমোনাই
তবে এই সংলাপ প্রক্রিয়ার সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিকতা এবং সহযোগিতার ওপর। দেশের জনগণও এই সংলাপের সফলতার দিকে তাকিয়ে আছে, কারণ এটি দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।