ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় তিন কৃষকের ২ বিঘা জমির পান বরজ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনা শনিবার রাতে বারইখালী গ্রামের মাঠে ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন আরাফাত, আলহাজ ও আয়াতুল্লাহ শাহ, যারা একই পরিবারের তিন ভাই।
তাদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা তাদের জমির পান বরজ কেটে দিয়েছে। এই বরজগুলিতে তারা দীর্ঘ সময় ধরে পরিশ্রম করে পানের আবাদ করেছিলেন এবং কিছু জমি থেকে পান সংগ্রহও করেছিলেন। কিছু জমিতে সার প্রয়োগও করা হয়েছিল, আর বাকি পানগুলোও সংগ্রহের অপেক্ষায় ছিল।
এই ভয়াবহ ঘটনার ফলে তিন ভাইয়ের প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন। তাদের অনেক দিনের কষ্ট আর শ্রম এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেছে। এমন একটি ক্ষতির মুখোমুখি হয়ে তারা এখন চরম হতাশা ও দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এ ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর মধ্যেও এ ঘটনার পর থেকে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন, এই ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ শুধু ওই কৃষকদের নয়, পুরো এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করেছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮, পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য : র্যাব
এই তিন কৃষক পরিবারের পানের বরজই তাদের প্রধান আয়ের উৎস। বরজগুলো থেকে পান সংগ্রহ করে তারা বাজারে বিক্রি করতেন এবং তা থেকে প্রাপ্ত অর্থেই তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ চলতো। এই বরজ কেটে দেওয়ার ফলে তারা এখন সম্পূর্ণরূপে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। এ ধরনের ঘটনা তাদের ভবিষ্যৎ জীবিকার উপরও প্রভাব ফেলবে।
কুড়িগ্রামে মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করায় গ্রেপ্তার ২
কৃষক পরিবারসহ এলাকাবাসী দাবি করেছেন, প্রশাসন যেন দ্রুত দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনে। এমন বর্বরোচিত কর্মকাণ্ড যেন পুনরায় না ঘটে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।
যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি সোনা লুট, মামলা
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনা গ্রামের কৃষকদের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তোলে। বিশেষ করে যখন একটি পরিবার তাদের প্রধান আয়ের উৎস হারায়, তখন তাদের আর্থিক এবং মানসিক দিক থেকে চরম সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। তাই, এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে কৃষকরা নিরাপদে তাদের জমিতে কাজ করতে পারেন এবং তাদের ফসল হারানোর ভয় না থাকে।