এ সময় তার সঙ্গে আরও দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়। তারা হলেন, নুরপুর এলাকার হান্নান মিয়া মেম্বার, যিনি একাধিক মামলার আসামি এবং আব্দুল্লাহপুর এলাকার কবির ভূঁইয়ার ছেলে নাঈম মিয়া।
মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় বিজিবি’র হাতে আটক সাবেক ভুমিমন্ত্রীকে আদালতে সোপর্দ
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, চৌধুরী এবং তার সহযোগীরা অবৈধভাবে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন ফজলে করিম। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, বিশেষত গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন কর্তৃক জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করার পর থেকে তিনি আরো চাপে পড়েন। এই ঘটনার পর ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম এবং রাউজানে একাধিক মামলা দায়ের হয়।
সাবেক ভুমি মন্ত্রী ভারতে পালানোর সময় মহেশপুর সীমান্ত থেকে বিজিবি আটক করে
২০০১ সাল থেকে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের রাউজান এবং আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালিত হয়। দীর্ঘ ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবন শেষে, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন এবং সরকারের পতনের পর থেকেই চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
পাঁচ উপায়ে আপনি আপনার রাউটার আপগ্রেড না করেই আপনার Wi-Fi গতি উন্নত করতে পারেন৷
২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে একটি গণআন্দোলনের মাধ্যমে। এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। সরকার পতনের পর বিরোধী দলগুলো এবং কিছু নতুন রাজনৈতিক দল ক্ষমতার ভারসাম্য অর্জন করতে থাকে।
তবে, সেই সময়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আত্মগোপনে চলে যান কিংবা পালানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফজলে করিম চৌধুরী। সরকারের পতনের পর নতুন রাজনৈতিক শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরনো সরকারের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।
শৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন পর মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
ফজলে করিম চৌধুরী তার সহযোগীসহ ভারতে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন, কিন্তু বিজিবির তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়। তারা ধরা পড়ার পর স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে তাদের আদালতে হাজির করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত। নতুন সরকার তাদের অবস্থান স্থায়ী করার চেষ্টা করছে এবং পুরনো সরকারের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সরকার পতিত হয়েছে, তাদের নেতাদের পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বর্তমানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফজলে করিম চৌধুরীর গ্রেপ্তারের ঘটনাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এবং এর মধ্য দিয়ে নতুন সরকার তাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরছে, যাতে কেউ আইন অমান্য করে পালিয়ে যেতে না পারে।