১. চ্যানেল পরিবর্তন করুন:
ওয়াইফাই চ্যানেলগুলি একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে। আপনি যদি ব্যস্ত চ্যানেলে থাকেন, তাহলে আপনার ওয়াইফাই সিগন্যাল অন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে আসতে পারে, যা গতি কমিয়ে দিতে পারে। আপনার রাউটারের সেটিংসে গিয়ে চ্যানেল পরিবর্তন করার মাধ্যমে আপনি একটি কম ব্যস্ত চ্যানেল নির্বাচন করতে পারেন। অনেক রাউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে চ্যানেল পরিবর্তনের অপশন দেয়, তবে আপনি ম্যানুয়ালি সঠিক চ্যানেল বাছাই করতে পারেন। মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি কোন চ্যানেলে কম ভিড় রয়েছে তা পরীক্ষা করতে পারেন।
শৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন পর মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধারশৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন পর মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
Wi-Fi রাউটার সাধারণত একাধিক চ্যানেল ব্যবহার করে ডাটা পাঠায়। অধিকাংশ মানুষ ডিফল্ট চ্যানেলেই রাউটার চালায়, ফলে রাউটারের চ্যানেলটি অতিরিক্ত ব্যবহার হয় এবং যানজট সৃষ্টি হয়। আপনি যদি আপনার চ্যানেল পরিবর্তন করে কম ব্যবহৃত চ্যানেলে সুইচ করেন, তবে আপনার নেটওয়ার্কের গতি বাড়তে পারে।
করণীয়:
- রাউটারের ম্যানেজমেন্ট পেজে যান এবং Wi-Fi সেটিংসে চ্যানেল পরিবর্তনের অপশন খুঁজুন।
- 2.4GHz এবং 5GHz উভয় ব্যান্ডের চ্যানেল চেক করুন।
- এমন চ্যানেল নির্বাচন করুন, যা কম ব্যবহৃত।
২. অ্যান্টেনার অবস্থান উন্নত করুন:
আপনার রাউটারের অ্যান্টেনা যদি বাইরের দিকে থাকে, তাহলে আপনি সেগুলোকে সঠিকভাবে অবস্থান করতে পারেন। বেশিরভাগ রাউটার অ্যান্টেনা সর্ব-দিকনির্দেশক হয়, যার মানে তারা চারপাশে সিগন্যাল পাঠায়। যদি আপনার রাউটার এমন অবস্থানে থাকে যা দেয়াল বা অন্যান্য অবজেক্ট দ্বারা অবরুদ্ধ হয়, তাহলে সিগন্যাল দুর্বল হতে পারে। একটি কৌশল হলো, একটি অ্যান্টেনাকে উল্লম্বভাবে এবং আরেকটি অনুভূমিকভাবে স্থাপন করা, যা বিভিন্ন তলায় ভাল কভারেজ দিতে পারে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা
রাউটারের সঠিক অবস্থান আপনার Wi-Fi সিগন্যালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাউটারের অবস্থান যত ভালো হবে, আপনার Wi-Fi সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। দেয়াল, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মেটাল অবজেক্ট থেকে দূরে রাউটার স্থাপন করুন।
করণীয়:
- রাউটারকে বাড়ির কেন্দ্রে রাখুন।
- দেয়ালের পেছনে বা টিভির শেলফের কাছে রাখবেন না।
- বৈদ্যুতিক প্যানেল বা মাইক্রোওয়েভের কাছেও রাউটার রাখার থেকে বিরত থাকুন।
৩. QoS (Quality of Service) সেটিংস ব্যবহার করুন:
QoS একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার যা আপনার নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে প্রাধান্য দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ভিডিও স্ট্রিমিং বা গেমিং এর জন্য QoS ব্যবহার করে আপনি এই কাজগুলোতে বেশি ব্যান্ডউইথ প্রদান করতে পারেন, যাতে নেটওয়ার্কের অন্যান্য ডিভাইস এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো কম প্রভাবিত হয়। এটি সহজেই আপনার রাউটারের সেটিংসে পাওয়া যাবে এবং আপনাকে আপনার ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করবে।
রাউটারের বাহ্যিক অ্যান্টেনা থাকলে, সেগুলোকে সঠিকভাবে পজিশন করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, অ্যান্টেনা সমানভাবে সিগন্যাল ছড়াতে সাহায্য করে, কিন্তু বিভিন্ন কক্ষের জন্য অ্যান্টেনার কোণ পরিবর্তন করলে আরও ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
করণীয়:
- যদি বহিরাগত অ্যান্টেনা থাকে, তবে অন্তত একটি অ্যান্টেনাকে অনুভূমিক এবং আরেকটিকে উল্লম্বভাবে অবস্থান করুন।
- অভ্যন্তরীণ অ্যান্টেনা থাকলে, রাউটারের অবস্থান ঠিকমতো রাখার দিকেই মনোযোগ দিন।
৪. রাউটার পুনরায় চালু করুন:
অনেক সময় রাউটার পুনরায় চালু করলে সাময়িক গতি সমস্যার সমাধান হতে পারে। রাউটারটি পুনরায় চালু করার সময়, এটি নতুন চ্যানেল অনুসন্ধান করে এবং সংযোগটি রিফ্রেশ করে। পুরনো মডেলের রাউটারগুলির ক্ষেত্রে, মাঝে মাঝে পুনরায় চালু করলে এটি হস্তক্ষেপ দূর করতে পারে এবং নতুনভাবে সিগন্যাল পাঠাতে সক্ষম হয়।
হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি
QoS ফিচারটি নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে ব্যান্ডউইথের বন্টনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস বা সেবা যেমন গেমিং, ভিডিও কলিংয়ের জন্য বেশি ব্যান্ডউইথ বরাদ্দ করে।
করণীয়:
- রাউটারের QoS সেটিংস ম্যানেজমেন্ট পেজ থেকে অ্যাক্সেস করুন।
- গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশনের জন্য উচ্চ অগ্রাধিকার দিন।
৫. রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করুন:
রাউটারটি আপনার বাড়ির কেন্দ্রীয় স্থানে রাখুন। দেয়াল এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি রাউটারের সিগন্যালকে অবরুদ্ধ করতে পারে। রাউটারকে যতটা সম্ভব খোলা জায়গায় এবং উচ্চ স্থানে রাখা উচিত, যাতে সিগন্যাল মুক্তভাবে ছড়াতে পারে। মাইক্রোওয়েভ ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির কাছ থেকে রাউটার দূরে রাখার চেষ্টা করুন, কারণ এই ডিভাইসগুলো রাউটারের সিগন্যালের সঙ্গে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
ঝিনাইদহে শিক্ষার মান ও কলেজ ক্যাম্পাসের পরিবেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
নিয়মিত রাউটার রিবুট করা কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করতে পারে। নতুন রাউটারগুলো রিবুটের সময় সংযোগের সমস্যা বা হস্তক্ষেপের জন্য চ্যানেল পরিবর্তন করতে পারে।
করণীয়:
- প্রতি কয়েক সপ্তাহে আপনার রাউটার রিবুট করুন।
- যদি ইন্টারনেট সংযোগ না পান, তবে রাউটার ও মডেমকে পুনরায় চালু করে দেখতে পারেন।
Wi-Fi গতি অনেক কারণের উপর নির্ভর করে এবং মাঝে মাঝে আপগ্রেড ছাড়াই গতি বাড়ানো সম্ভব। আপনি যদি উপরের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করেন, তাহলে আপনার ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, যদি আপনার রাউটার অনেক পুরনো হয়, তাহলে এক পর্যায়ে এটি পরিবর্তন করার কথাও ভাবতে হবে, কারণ নতুন রাউটারগুলো আরো উন্নত ফিচার দিয়ে তৈরি যা আপনার ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ গতি নিশ্চিত করে।
এই সহজ পদ্ধতিগুলি চেষ্টা করলে আপনার রাউটারের কর্মক্ষমতা আরও ভালো হবে। তবে যদি আপনার রাউটার পুরনো হয় বা নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে না পারে, তবে নতুন রাউটারে আপগ্রেড করাই ভালো সমাধান।