ওয়াইফাই রাউটার সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। ইন্টারনেট সংযোগ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও অনেকেই তাদের রাউটারকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি এড়িয়ে যান, যা সাইবার অপরাধীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে। গবেষণা থেকে জানা গেছে, বেশিরভাগ মানুষ তাদের রাউটারের ফ্যাক্টরি সেটিংস পরিবর্তন করেন না এবং গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা আপডেটগুলো ইনস্টল করতে ব্যর্থ হন।
কালীগঞ্জে বিজেপির মোটরসাইকেল র্যালি ও লিফলেট বিতরণ
রাউটার সুরক্ষিত না থাকলে হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, এবং আরও অনেক কিছুতে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিফল্ট পাসওয়ার্ড এবং নেটওয়ার্কের নাম অপরিবর্তিত রাখলে সাইবার অপরাধীরা সহজেই আপনার নেটওয়ার্ক হ্যাক করতে পারে। রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করা এবং সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য।
১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন
রাউটারের সেটিংস চেক করার উপায়
আপনার রাউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, আপনাকে নিয়মিতভাবে এর ফার্মওয়্যার আপডেট করতে হবে। বেশিরভাগ আধুনিক রাউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই আপডেটগুলো ইনস্টল করে, তবে কিছু পুরোনো মডেলে ম্যানুয়ালি এটি করতে হয়। রাউটারের কনফিগারেশন পেজে গিয়ে (আইপি ঠিকানা 192.168.1.1 ব্যবহার করে) পাসওয়ার্ড এবং নেটওয়ার্কের নাম পরিবর্তন করুন। নতুন পাসওয়ার্ড নিরাপদ এবং ইউনিক হওয়া উচিত, যাতে হ্যাকাররা সহজে অনুমান করতে না পারে।
সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার পরামর্শ
১. ফার্মওয়্যার আপডেট:
ফার্মওয়্যার হল রাউটারের অপারেটিং সিস্টেম। এটি নিয়মিতভাবে আপডেট করা না হলে, সাইবার অপরাধীরা পুরোনো দুর্বলতাগুলোর সুযোগ নিতে পারে। তাই ফার্মওয়্যার আপডেট নিশ্চিত করতে হবে।
ঝিনাইদহ পৌরসভায় সেবা ব্যবস্থার দুরবস্থা
২. ডিফল্ট পাসওয়ার্ড পরিবর্তন:
ডিফল্ট পাসওয়ার্ড অপরিবর্তিত থাকলে এটি হ্যাকারদের জন্য বড় একটি সুযোগ তৈরি করে। পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত, যা অনুমোদিত ব্যক্তিরা ছাড়া কেউ জানতে পারবে না।
৩. নেটওয়ার্কের নাম পরিবর্তন:
আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নাম যদি এখনও ফ্যাক্টরি ডিফল্ট থাকে, তবে এটি হ্যাকারদের জন্য সুবিধাজনক। নেটওয়ার্কের নাম এমন কিছুতে পরিবর্তন করুন যা রাউটারের মডেল বা ইন্টারনেট প্রোভাইডারকে প্রকাশ না করে।
৪. দূরবর্তী প্রশাসন বন্ধ রাখা:
অনেক রাউটার দূরবর্তী প্রশাসন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়। এই ফিচারটি বন্ধ রাখা উচিত যদি তা না লাগে। কারণ এটি হ্যাকারদের দূর থেকে আপনার নেটওয়ার্কে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে।
জরিপের ফলাফল
গবেষণা বলছে, জরিপকৃতদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ তাদের নেটওয়ার্কের নাম পরিবর্তন করেনি, ৮৬ শতাংশ তাদের প্রশাসকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেনি এবং ৭৫ শতাংশ কখনও তাদের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেনি। এতে দেখা যায়, সাধারণ ব্যবহারকারীরা তাদের রাউটার সুরক্ষিত রাখতে সচেতন নয়, যা তাদের সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে।
হরিণাকুণ্ডুতে সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু
হ্যাকারদের সুবিধা
যদি আপনার নেটওয়ার্কের সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল থাকে, তাহলে হ্যাকাররা আপনার রাউটারে প্রবেশ করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংকিং তথ্য বা চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। এছাড়া, কিছু অসাধু ব্যক্তি আপনার অরক্ষিত নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে নিজের ইন্টারনেট বিল এড়াতে পারে।
পরামর্শ: রাউটার রিসেট
যদি মনে হয় যে আপনার নেটওয়ার্কে অননুমোদিত ডিভাইস সংযুক্ত হয়েছে বা সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন, তাহলে প্রথমে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাউটারকে ফ্যাক্টরি রিসেটে ফেরত নিয়ে আসুন। রিসেটের পর, নতুন পাসওয়ার্ড এবং নেটওয়ার্কের নাম দিয়ে সুরক্ষা জোরদার করুন। একই সাথে, আপনার অ্যাডমিন পাসওয়ার্ড ও ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন এবং ভবিষ্যতে অনন্য কিছু ব্যবহার করুন।
সাইবার আক্রমণের ফলে ক্ষতি
একটি অরক্ষিত নেটওয়ার্কে আক্রমণ হলে, এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার ঝুঁকিই নয়, আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারে। সাইবার অপরাধীরা আপনার ব্যাংকিং বিবরণ সংগ্রহ করে অর্থ চুরি করতে পারে বা চিকিৎসা তথ্য চুরি করে আপনার পরিচয় চুরির ঘটনায় যুক্ত হতে পারে।
ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
আপনার নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখতে হলে নিয়মিত ফার্মওয়্যার আপডেট করতে হবে এবং নিরাপদ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও, সময়মতো রাউটারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা উচিত এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
মহেশপুরের স্বরূপপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস যেন মগের মুল্লুক: ঘুষ ছাড়া সেবা মেলে না
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত আপডেট ও সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।