খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত কমিটি বিভাগীয় ক্রীড়ার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই কমিটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা ক্রীড়া জগতে নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে এই সংস্থাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবেন।
নবগঠিত কমিটির আহবায়ক হিসেবে মোহাম্মদ হেলাল মাহমুদ শরীফকে মনোনীত করা হয়েছে, যিনি খুলনা বিভাগের কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। আহবায়ক হিসেবে তার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার এই কমিটির কার্যক্রমে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। মোহাম্মদ হেলাল মাহমুদ শরীফ একজন অভিজ্ঞ প্রশাসক, যিনি এর আগেও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রেখেছেন। তার নেতৃত্বে কমিটি ক্রীড়ার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ঝিনাইদাহ থেকে সাংবাদিক আসিফ কাজল রয়েছেন, যিনি ঝিনাইদাহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং একজন অভিজ্ঞ ক্রীড়া সাংবাদিক। তার অন্তর্ভুক্তি এই কমিটির কার্যক্রমে নতুন গতি এনে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া তিনি ঝিনাইদাহের ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত রয়েছেন। তার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের দক্ষতা কমিটিকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত করতে সহায়ক হবে।
ঝিনাইদহে টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
খুলনা থেকে ইউএনবি প্রতিনিধি ও ক্রীড়া সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম এই কমিটির অন্যতম সদস্য। তার সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা কমিটির কর্মকাণ্ডে পেশাদারিত্ব আনবে বলে আশা করা যায়। তিনি ক্রীড়া বিষয়ক খবর ও তথ্য বিশ্লেষণে পারদর্শী, যা কমিটির কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
খুলনার সাবেক ক্রিকেটার রুমানা আহমেদও কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। একজন মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে তিনি মহিলা ক্রীড়ার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তার ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা ও প্রতিভা খুলনা বিভাগের ক্রিকেটের উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেট বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া
কুষ্টিয়ার শুটার খন্দকার তুহিন আহমেদও এই কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। শুটিং খেলার ক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা ও অবদান কমিটিকে আরও সমৃদ্ধ করবে। শুটিং একটি বিশেষায়িত ক্রীড়া এবং এর উন্নয়নে তার মত একজন দক্ষ ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল। তুহিন আহমেদের অন্তর্ভুক্তি এই ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে মিকাইল ইসলাম চঞ্চলকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তিনি যুবকদের ক্রীড়ার প্রতি আকৃষ্ট করতে এবং তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে ভূমিকা রাখতে পারবেন। যুব সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে তার অন্তর্ভুক্তি কমিটিকে আরও জনমুখী করে তুলবে।
কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে খুলনা বিভাগীয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোস্তাক উদ্দিনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। তার অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা কমিটির কার্যক্রমকে আরও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করতে সহায়ক হবে। যুব উন্নয়ন ও ক্রীড়ার ক্ষেত্রে তার অবদান কমিটিকে আরও কার্যকর করে তুলবে বলে আশা করা যায়।
নবগঠিত এই কমিটি খুলনা বিভাগের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে বলে সরকারী চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ৭ সদস্যের এই কমিটি খুলনা বিভাগের ক্রীড়া উন্নয়ন ও প্রচারে কাজ করবে। তাদের নেতৃত্বে খুলনা বিভাগের ক্রীড়া কার্যক্রম আরও গতিশীল ও কার্যকর হবে বলে ক্রীড়া মহল মনে করছে।
এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ক্রীড়া ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। ক্রীড়াবিদদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করতে এই কমিটি কাজ করবে। এছাড়াও, বিভাগের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন, ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন প্রতিযোগিতার আয়োজনের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে এই কমিটি।
ঝিনাইদহে সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সাংবাদিকরা এই কমিটির গঠনের খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বিশ্বাস করেন, এই কমিটি বিভাগের ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত থাকা বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সমস্যাগুলি সমাধানে এই কমিটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদী।
আশা করা হচ্ছে, এই কমিটির নেতৃত্বে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবে। নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করা, ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এছাড়া, বিভাগের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে ক্রীড়া সচেতনতা বাড়াতে ও ক্রীড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে এই কমিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।