ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণবিয়ের আয়োজন নিয়ে সাম্প্রতিক গুঞ্জন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে যে, তারা এ ধরনের কোনো আয়োজনের অনুমোদন দেয়নি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই উদ্যোগের কোনো সম্পর্ক নেই।
হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণবিয়ে আয়োজনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। কাউকে এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন দেওয়া হয়নি, এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিতও করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিদ্যাচর্চার প্রতিষ্ঠান এবং এর প্রচলিত রীতিনীতি ও বর্তমানে প্রচলিত নিয়মকানুনের মধ্যে এ ধরনের কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে জড়িত করার গুজব ছড়ানো হয়েছে, যা সঠিক নয়। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে এ ধরনের ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শাহরিয়ার কবির এবং সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থীর উদ্যোগে গণবিয়ের আয়োজনের কথা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীসহ অনেকের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদন নেই এবং এটি সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবগুলো অনেক সময় বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার সঙ্গে সংযুক্ত না হওয়ার কারণে এমন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। গণবিয়ের আয়োজনের মতো স্পর্শকাতর একটি বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুলভাবে জড়িয়ে ফেলা, শুধুমাত্র গুজবের ওপর ভিত্তি করে, ভুল ধারণার জন্ম দেয়।
ঝিনাইদহে মসজিদের জায়গা নিয়ে ১৪৪ ধারা জারি প্রতিবাদে রাস্তায় জুম্মার নামাজ আদায়
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যদি কোনো শিক্ষার্থী এ ধরনের আয়োজন করে থাকে, তবে তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগের অংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো দায়িত্ব বা অনুমোদন এর সঙ্গে যুক্ত নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কার্যকলাপকে প্রাতিষ্ঠানিক বা সামাজিকভাবে অনুমোদন করে না। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের দায়ভার তাদের নিজেদের ওপরেই বর্তায় এবং এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভূমিকা নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার একটি প্রাচীন ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য। এ ধরনের সামাজিক আয়োজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ও রীতিনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও চরিত্রের সঙ্গে মানানসই নয়।
সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারকে যৌথ বাহিনী রাজনৈতিক সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবাইকে অনুরোধ করেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া খবর ও গুজব থেকে সতর্ক থাকার জন্য। এই ধরনের গুজব অনেক সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানকে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বিতর্কিত করা উচিত নয়।
সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফের বিরুদ্ধে ৫টি হত্যা মামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণবিয়ের আয়োজন নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজব এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গণবিয়ের আয়োজনে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগ। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের প্রেক্ষাপটে সতর্ক থাকতে এবং এ ধরনের ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।