ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগর গ্রামে জমি বিক্রির নামে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সৌদিয়া পারভীন পান্না এবং তার পরিবার মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার প্রতিকার দাবি করেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মুসা মণ্ডলের মেয়ে পারভীন বেগম পারুলের কাছ থেকে শিবনগর মৌজার ৫২৭ নম্বর দাগ থেকে ৪ শতক জমি কেনার জন্য সৌদিয়া পারভীন পান্নার পিতা আব্দুস সাত্তার ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন। স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে এই লেনদেন লিখিত স্ট্যাম্পে নথিভুক্ত করা হয়। জমিটির মোট মূল্য ছিল ১৪ লাখ টাকা।
কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য ক্রেতারা বারবার অনুরোধ করলেও পারুল তালবাহানা শুরু করেন। রেজিস্ট্রির নির্দিষ্ট দিনেও জমি রেজিস্ট্রি না করে তিনি ঢাকায় পালিয়ে যান। গত সংসদ নির্বাচনের সময় পারুল বাড়ি এলে জমি রেজিস্ট্রি করার অনুরোধ করা হলে তিনি তা সরাসরি অস্বীকার করেন।
প্রায় ৪০ লাখ টাকার গাছ মাত্র ৬ লাখ ২৯ হাজার টাকায় বিক্রি
সৌদিয়া পারভীন পান্না অভিযোগ করেন, জমি রেজিস্ট্রি না করায় তারা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর থেকে তাদের পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমনকি স্বাক্ষীদেরও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এক স্বাক্ষীর জমির ফসলও নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তারা ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আদালতের মাধ্যমে তাদের জমির রেজিস্ট্রি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ঝিনাইদহে জোরপুর্বক জমি দখল করে গাছ কাটার অভিযোগ, থানায় অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী সৌদিয়া পারভীন পান্নার পিতা আব্দুস সাত্তার, ভাই ফারুক হোসেন এবং বোন জামাই শেখ আক্তারুজ্জামানসহ অন্যান্য সদস্যরা।
অভিযুক্ত পারভীন বেগম পারুল এ বিষয়ে বলেন, “আমার সময় হলে আমি জমি রেজিস্ট্রি করে দিব।” তিনি এরপর ফোন কল কেটে দেন।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং জমি নিয়ে এই প্রতারণার ঘটনা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।