ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-রাজনীতিবিদদের নয়, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, উন্নয়ন কর্মী এবং সাংবাদিকদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু হলো ঝিনাইদহ জেলার কিছু ব্যক্তিত্ব, যারা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।
সক্রিয় একটি চক্র। শুধু রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গই না, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবি, উন্নয়ন কর্মী এমনকি সংবাদকর্মীও বাদ যাচ্ছে না এসব দুস্কৃতিদের হাত থেকে। নামে বেনামে আইডি খুলে ফেসবুকে মিথ্যাচার করে মান ক্ষুন্ন করা হচ্ছে অনেকের। ফেইক আইডি হওয়ায় অনেক সময় ধরাছোয়ার বাইরেই থাকছে।
ফেসবুকে ফেক আইডির মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে তাদের সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবনে প্রভাব পড়ছে। এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা কেবল রাজনীতিবিদদের নয়, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, উন্নয়ন কর্মী এবং সাংবাদিকদেরকেও টার্গেট করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নয়ন চ্যাটার্জী নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ঝিনাইদহের বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু, এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকরাও রয়েছেন। এই মিথ্যা প্রচারণা দীর্ঘ এক বছর ধরে চলছে এবং এতে তারা মানহানির শিকার হচ্ছেন।
এমপি আনার হত্যার আসামী বাবুকে নিয়ে মোবাইল উদ্ধারে ঝিনাইদহে অভিযান চলছে.
গত ১ বছর ধরে ঝিনাইদহের মানুষের নামে ফেসবুকে এমন মিথ্যাচার করছে ওই দুস্কৃতিকারী। সম্প্রতি জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান রানুর নামে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তার সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশেষ করে, রোকনুজ্জামান রানুর নামে ফেসবুকে মিথ্যা প্রচার করে তার রাজনৈতিক পরিচয় বিকৃত করা হচ্ছে। তাকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে, যদিও তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে জড়িত ছিলেন এবং পরবর্তীতে বিএনপির প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তার পারিবারিকভাবে বিএনপির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ট্রেন লাইন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
এ্যাডভোকেট এম.এ.মজিদ ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ^াস থাকা কালে রোকনুজ্জামান রানু ছাত্রদলের বিভিন্ন কমিটিতে ছিলেন। ১৯৮৬ সালে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয় রানু। ১৯৯০-৯১ সালে বাস মালিক সমিতির সদস্য পদে অধিষ্ট হন তিনি।
১৯৯৮ সালে সর্ব্বোচ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন পদে ছিলেন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি সভাপতি ছিলেন।
২০১৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সদর আসনের এমপি তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমির নেতৃেত্ব দখল করতে গেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্বকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।
এখন পর্যন্ত প্রশাসকের নিয়ন্ত্রনে চলছে। এখানে একটি সীমিত সংখ্যাক পরিচালক কমিটি আছে। সেই কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি কাজ করছেন। সাইদুল করিম মিন্টু সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন তিনি সভাপতি ছিলেন। । ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের পর সাইদুল করিম মিন্টু আর বাস মালিক সমিতিতে আসেননি। শুধু তাই নয়।
পারিবারিক ভাবেও রোকনুজ্জামান রানু বিএনপির সাথে জড়িত। রোকনুজ্জামান রানুর আপন বড় মামা কুষ্টিয়া সদর আসনের বিএনপির থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন।
এছাড়া শৈলকুপা উপজেলার ১৪ নং দুধসর ইউনিয়নের বিএনপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান রোকনুজ্জামান রানুর আপন কাকা। ঝিনাইদহ আইনজীবি সমিতির বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাকারিয়া মিলনের ভাই রোকনুজ্জামান রানু।
দেশের দক্ষিনাঞ্চলে রেণু পোনা উৎপাদনে এক সমৃদ্ধ ভান্ডার ঝিনাইদহের বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারি
গত ৩ সেপ্টম্বর ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর সিটি কলেজে একটি শান্তি সমাবেশঅনুষ্ঠিত হয়েছিলো সেখানে আরাপপুরের এলাকার সবাই উপস্থিত ছিলেন।
জেলাবিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এমএ মজি, জেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ^াস ও জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আশরাফুলইসলাম পিন্টুসহ আরপপুরেরনেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয় এখানেআরাপপুরের বিভিন্ন ব্যসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে রানু বলেন, আওয়ামী লীগের ১৭ বছরে ঝিনাইদহে কোন ঠিকাদারী কাজকরেনি। আমি লাইসেন্স দিয়ে কোন কাজ নেইনি। বাস মালিক সমিতিতেসাইদুল করিম মিন্টু থাকার কারনে যতটুকু দরকার ততটুকু সম্পর্ক ছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে।
আমি যেহেতু পরিবহন ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। সেহেতু মালিকরা আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করেছিলেন। সেই কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানা হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, পুলিশের গুলি, আহত অন্তত ২৫
ব্যবসায়ী হিসেবে তার সাথে যে সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন সেটার বাইরে কিছু ছিলো না। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এমএ মজিদের উপর ঈশ^ানিত হয়ে একটি কুচক্রি মহল রোকনুজ্জামান রানুকে নিয়ে ভুয়া ও ফেক ফেসবুক আইডি থেকে এসব ছড়ানো হচ্ছে। এতে করে উভয়ের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য কুচক্রি মহল উঠে পড়ে লেগেছে।
এ ধরনের মিথ্যাচার এবং ফেক ফেসবুক আইডি থেকে প্রচারিত তথ্য নিয়ে ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।