বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, যা পাকিস্তানের মাটিতে তাদের প্রথম সিরিজ জয়।
শেষ ইনিংসে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ পঞ্চম দিনে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে ক্রিজে থাকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম মিলে এই জয়কে সুনিশ্চিত করেন। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে শেষ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত ৪ রান, যা বাংলাদেশের জয়কে নিশ্চিত করে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যে ১৩টি আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে জিততে পারেননি
সাকিব অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে এবং মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ২২ রানে। সাকিবের ব্যাটে আবরার আহমেদের একটি বল কাভারে ঠেলে দিয়ে বাউন্ডারি মারেন, যা রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে থাকা বাংলাদেশি সমর্থকদের মাঝে উল্লাসের সৃষ্টি করে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেট বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া
এর আগে, প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ২৭৪ রান করে অলআউট হয়। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ১৬১ রানের জুটি দলকে ২৬২ রানে পৌঁছে দেয়, যেখানে লিটন ১৩৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এবং ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে গুটিয়ে গেলে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রান, যা তারা সহজেই তাড়া করতে সক্ষম হয়।
ঝিনাইদহে সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে যথাক্রমে ৫ ও ৪ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন। হাসান ও নাহিদের আগ্রাসী বোলিং, পাশাপাশি জাকির হাসানের শুরুতে দ্রুত ৪০ রানের ইনিংস দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেয়।
ঝিনাইদহে টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
এই সিরিজ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে, কারণ পাকিস্তানের মাটিতে এমন জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি বড় গৌরবের বিষয়।