দমন-নিপীড়ন বন্ধ করে ক্ষমা চেয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন
শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ দোয়া ও গণমিছিল কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের নৃশংস হামলার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে এই দমনমূলক আচরণ বন্ধের দাবি জানিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকার কেবল হামলা চালানোই নয়, গণমিছিলের কর্মসূচি ব্যর্থ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছে। এটি তাদের ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের অংশ।”টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, সরকার নির্দেশিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে—যেমন হবিগঞ্জ, ঢাকা, সিলেট, খুলনা, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর—নিরীহ নাগরিকদের উপর বেপরোয়া হামলা চালিয়েছে। হবিগঞ্জে এক শ্রমিকের মৃত্যু এবং সিলেটে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হামলার সময়ে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিপেটার মাধ্যমে বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন যে, সরকার জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরামর্শ উপেক্ষা করে দেশের মানুষকে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার করছে। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে রেকর্ডসংখ্যক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনজীবীরা মামলার কাগজ সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তিনি সরকারের দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার-বাণিজ্য বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।