অসহযোগ আন্দোলনের সফল বাস্তবায়নের জন্য মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার নির্দেশনাবলী
মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে, একটি পরিকল্পিত অসহযোগ আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য নিম্নলিখিত জরুরি নির্দেশনাসমূহ প্রদান করা হলো:
১. কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
২. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ অন্যান্য বিল পরিশোধ থেকে বিরত থাকুন।
৩. সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত, এবং কলকারখানা বন্ধ রাখুন। অফিসে না গিয়ে মাস শেষে বেতন গ্রহণ করুন।
৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৫. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিটেন্স পাঠাবেন না।
৬. সরকারি সভা, সেমিনার এবং অন্যান্য আয়োজন বর্জন করুন।
৭. বন্দরকর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না এবং কোনো পণ্য খালাস করবেন না।
৮. দেশের কলকারখানা বন্ধ থাকবে; গার্মেন্টসকর্মীরা কাজে যাবেন না।
৯. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে; শ্রমিকরা কাজে যাবেন না।
১০. জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রবিবার ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
১১. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ছাড়া অন্য কোনো প্রটোকল, রায়ট বা প্রটেস্ট ডিউটিতে অংশগ্রহণ করবেন না। শুধুমাত্র থানার নিয়মিত কাজ করবেন।
১২. দেশ থেকে কোনো টাকা পাচার হতে দেওয়া হবে না; সকল অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
১৩. বিজিবি ও নৌবাহিনী ছাড়া অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী তাদের নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে।
১৪. আমলারা সচিবালয়ে এবং ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
১৫. বিলাসদ্রব্যের দোকান, শো রুম, বিপণি-বিতান, হোটেল, মোটেল এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
বিশেষ নির্দেশনা:
- হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা (যেমন: ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, এবং ত্রাণ সহায়তা) চালু থাকবে।
- নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অসীম মাহমুদ
সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন