চট্টগ্রামে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণে আহত পুলিশ সদস্য: পুলিশ বলছে ককটেল বিস্ফোরণ
ঘটনার সারাংশ: চট্টগ্রামের ব্যস্ততম চেরাগী পাহাড়ের কদম মোবারক এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সোমবার বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল—কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, এবং অন্যান্য দাবিতে প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য এসআই মোশাররফ হোসেন আহত হন।ঝিনাইদহে কোটা বিরোধীদের পদযাত্রা ও সমাবেশ
মামলার বিবরণ: চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার এসআই নয়ন বড়ুয়া বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন এসআই মোশাররফ হোসেন এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। তবে ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের ফলে এসআই মোশাররফ হোসেন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য: অন্যান্য পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাক্ষাৎকারে জানা গেছে, পুলিশ ছাড়া আর কেউ কিছু ছুড়ে মারে নাই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। ককটেল বিস্ফোরণের কোনো প্রমাণ মেলেনি এবং পুলিশ সদস্যরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণের কারণে আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত তথ্য ও বিবরণ: ১. আন্দোলনকারীদের দাবি: আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, তাঁদের কপালে ককটেল ছিল না এবং পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণই আহত হওয়ার কারণ।
২. পুলিশের প্রতিক্রিয়া: কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম ওবায়দুল হক জানিয়েছেন, আহত পুলিশ সদস্যদের ককটেল বিস্ফোরণের কারণে হয়েছে, সাউন্ড গ্রেনেড নয়। তবে তদন্তের সময় একাধিক সাক্ষীর দাবি উঠে এসেছে যে, সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণই মূল কারণ।
৩. মামলার জব্দ তালিকা: মামলার জব্দ তালিকায় দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ, ৪টি লাঠি ও ১২টি ইটের টুকরা জব্দ করা হয়েছে। তবে অনেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পুলিশ ছাড়া আর কেউ কিছু ছুড়ে মারেনি।ঝিনাইদহে এক কৃষককে জবাই করে হত্যা
উপসংহার: ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘাতের প্রকৃত কারণ নিয়ে বিভক্তি রয়েছে। স্থানীয় সুত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণই প্রধান কারণ হিসেবে প্রতিস্থাপন হচ্ছে, যদিও পুলিশ ককটেল বিস্ফোরণের দাবি করছে।ঝিনাইদহে ৬০০ পরিবারের মাঝে শিশুখাদ্য বিতরণ
এই তথ্যগুলি পর্যালোচনা করে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ঘটনাস্থলে ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করতে পুলিশ এবং জনগণের বক্তব্যগুলোর মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। প্রতিবেদনটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা এবং সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।