মেহেদী হাসান ঃ উন্নত জাতের বারি-১৪, হাইব্রিড শরিষা চাষ করে লাভবান হয়েছে রাজবাড়ীর কৃষকেরা। দেশি জাতের শরিষা চাষে ফলন কম হওয়ার কারণে বারি ১৪ হাইব্রিড শরিষা চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, উন্নত জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রনোদনা প্রদান
করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় এ বছর, ১ হাজার ৯৭৩ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের কামালদিয়া গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন এ বছর ২ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের হাইব্রিড শরিষা চাষ করেছেন।
ফলন খুব ভালো হওয়ায় তার দেখাদেখি একই এলাকার কৃষক মোঃ জাফরউল্লাহ, রহিম শেখ, আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকশত কৃষক এবার বেশি লাভের আশায় সরিষা চাষ করেছেন। কামালদিয়া গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বারি-১৪ জাতের শরিষার গাছ সাধারণত পাঁচ থেকে সাত ফুট লম্বা হয়ে থাকে, আর ফলন হয় দেশি শরিষার থেকে দ্বিগুন।
জাপার কাকরাইল অফিসের দখল নিলেন রওশনপন্থিরা
প্রতি বিঘা জমিতে শরিষা আবাদে চাষ থেকে শুরু করে বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ, মজুর পর্যন্ত খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকা। সেই হিসেবে দেশি শরিষা ৩ থেকে ৪ মন হলেও হাইব্রিড জাতের শরিষা বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ মন পর্যন্ত ফলন হয়। কৃষক মোঃ জাফরউল্লাহ বলেন, উন্নয়ত জাতের বারি-১৪ সরিষা চাষ করে ফলন হয়েছে ভালো। এতে কৃষক অনেক লাভবান হচ্ছে।
এখনো রিটার্ন জমা দেননি ৬৩ শতাংশ করদাতা
দেশি সরিষার চার কেজিতে এক কেজি তেল হয় আর উন্নত জাতের বারি-১৪, হাইব্রিড শরিষায় চার কেজিকে প্রায় ২ কেজি তেল হয়। আগামী তেলের ঘাটতি পুরণ করতে সরিষার তেল ভালো ভুমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা মোঃ জনি খান বলেন, সয়াবিন তেলে ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে।
তুরাগতীরে লাখো মুসল্লির জুমার জামাত আদায়
আর সরিষায় ক্ষতিকারক উপাদান নেই। যে কারণে এটি স্বাস্থ্য সম্মত। এছাড়াও আমন ধান কেটে ফেলার পরে পতিত জমিতেও সরিষার আবাদ হয়। যে কারণে কৃষক দুই ফসলী জমিতে তিন ফসল তুলতে পারছে। সরিষা চাষে কৃষকদের প্রনোদনা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকের খোঁজখবর নিতে কাজ করে যাচ্ছেন।